পুলিশের উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিনের আবেদন করায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
আদালতে জয়নাল অবেদীনের পক্ষে শুনানি করেন মওদুদ আহমেদ, মো. ওয়াজি উল্লাহ, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও এম আতিকুর রহমান।
একই মামলায় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালকেও চার সপ্তাহের আগাম দিয়েছেন এই আদালত।
গত ৩০ জানুয়ারি জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিচারকি আদালত থেকে ফেরার সময় হাইকোর্টের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
ওই সময় দলটির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করে প্রিজন ভ্যান থেকে আটক নেতাকর্মীদের ছিনিয়ে নেয়। তারা পুলিশের গাড়ি ভাংচুরও করে। এঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানায় পুলিশ তিনটি মামলা করে।
খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ
এই ঘটনায় শাহবাগ ও রমনা থানায় করা পুলিশের তিন মামলায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে রুলসহ নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
বিদেশে অবস্থানরত দেশে ফেরার পর মাহবুব উদ্দিন খোকনকে গ্রেপ্তার বা হয়রানী না করার নির্দেশ কেন দেওা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে খোকনের পক্ষে শুনানিতেও ছিলেন মওদুদ আহমদ। তার সঙ্গে আইনজীবী ছিলেন সাকিব মাহবুব ও সানজিত সিদ্দিকী।