কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জাহাঙ্গীরনরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত হামলায় সরকারের কাছে জবাব চান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যান্য শিক্ষক।
উপাচার্য বলেন, কোটা সংস্কার একটি যৌক্তিক দাবি। পুলিশি হামলা চালিয়ে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। আলোচনার মাধ্যমে এ দাবি সমাধান করতে হবে। কিন্তু সরকার তা না করে শিক্ষার্থীদের উপর একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।
‘ইতোমধ্যেই প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। আমরা আর রক্তপাত চাই না। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এবং জাহাঙ্গীর কবির নানককে বিষয়টি জানিয়েছি। কেন আমার শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ হামলা করে রক্তাক্ত করলো আমি তার জবাব চেয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘৫৬% কোটা আসলেই একটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। এ আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে, আমরা তোমাদের পাশে আছি। প্রয়োজন হলে তোমাদের সাথে আমরা একসাথে আন্দোলন করবো।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমির হোসেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক রাশেদা আখতারসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন আজকের মতো স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক খান মুনতাসির আরমান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে পরবর্তী কর্মসূচি আবার জানানো হবে।