চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পুলিশি বাধার মুখে বাম জোটের বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি

দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাও করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে তা আটকে যায়।

বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন জোটের নেতাকর্মীরা। এরপর মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে যাওয়ার সময় দৈনিক বাংলার মোড়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে তারা সেখানেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আজকের এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ এমন একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যে, মাত্র ২ কোটি টাকার জন্য একজনকে ৫ থেকে ৭ বছরের জেল দেওয়া হচ্ছে। আর হাজার হাজার কোটি টাকা লুটকারীরা প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ব্যাংক ও ভোট লুটেরা একাকার হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের টাকা লুট করে জুয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। আজ পর্যন্ত এই লুটকারীদের কারও গ্রেপ্তার করা হয়নি। এখন ব্যাংক লুটকারী ও ভোট লুটকারীরা একাকার হয়ে গেছে।

সাইফুল হক বলেন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন ভারতকে লুট করেছে। তেমনি বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে লুট করছে। এই সরকারের তৃতীয় শ্রেণির নেতাদের বাসা থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাহলে চিন্তা করে দেখেন, প্রথম শ্রেণির নেতাদের ঘরে কত কোটি টাকা আছে?

সরকারে পদত্যাগ দাবি করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, লুটকারীদের থেকে বাঁচতে হলে এই সরকারের পদত্যাগ করতে হবে। তাহলে দেশের জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাবে, ভোটার অধিকার ফিরে পাবে এবং বাংলাদেশ লুটকারীদের হাত থেকে বাঁচবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মো. শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

দৈনিক বাংলা মোড়ে সমাবেশ শেষে বাম জোটের নেতারা বাংলাদেশ ব্যাংকে স্মারকলিপি পেশ করতে যান।