রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক নিষ্ঠুর হত্যাকারী জঙ্গিকে খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, যাকে সবাই চেনে ‘জিহাদি জন’ হিসেবে। জিহাদি জনকে আইএস’র বহু ভিডিওতে আমেরিকান ও ব্রিটিশ বন্দীদের শিরশ্ছেদ করতে দেখা গেছে।
২৭ বছর বয়সী জিহাদি জনের আসল নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। তাকে আটক করাকে সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী অভিযানে কাজের তালিকায় এক নাম্বারে গুরুত্ব দিয়েছেন পুতিন।
জনকে ধরতে পারলে আইএস যেমন একটা ধাক্কা খাবে, পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রোপাগান্ডাও এই চাপে দুর্বল হয়ে পড়বে। কেননা ক্যামেরন এর আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন, জনকে তিনি জীবিত বা মৃত ধরবেন।
দু’সপ্তাহ আগে রাশিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে আইএস নির্মূলে বোমা হামলা চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এবার হিটলিস্টে জিহাদি জনের অবস্থানের কথা জানালো রুশ কর্তৃপক্ষ। বিমান হামলায় এক দিনেই ৪৯টি আইএস টার্গেট তারা ধ্বংস করার দাবি করে।
রাশিয়ার অভিযানের বিরোধিতা করে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পুতিন শুধু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতা রক্ষার চেষ্টা করছে। রাশিয়ার বেশিরভাগ হামলা আসলে আসাদ বিরোধী বাহিনীর ওপর করা হচ্ছে বলে দাবি দেশ দু’টির।
এক মার্কিন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়া সিরিয়া সরকারের আমন্ত্রণে তাদের সাহায্য নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য জিহাদি জনসহ অন্যান্য আইএস নেতাদের খুঁজে বের করা বা ধরা সহজ হবে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো জিহাদি জন আর বাগদাদিকে আটক করা। এতে তাদের হাতে অনেক বড় শক্তি চলে আসবে। রাশিয়া তখন এদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যে কোনো স্বার্থ নিয়ে দর কষাকষির সুযোগ পাবে।