একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে ইপিআর সদর দপ্তর পিলখানায় আক্রমণ করে দখলে নেয় পাকিস্তানি বাহিনী। তবে ইপিআরের বাঙালি সদস্যরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। বাঙালি ইপিআর সদস্যদের হাতে অস্ত্র থাকায় তাদের অনেকেই পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
অপারেশন সার্চলাইটের অংশ হিসেবে ২৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী ট্যাংক, বন্দুক, সাঁজোয়া যানসহ পিলখানা ইপিআর সদর দপ্তর ঘিরে ফেলে। গুলি ও অতর্কিত হামলায় বাঙালি সদস্যদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালেও এক পর্যায়ে প্রতিরোধ শুরু করেন তারা। কয়েকজন শহীদ হন, কেউ পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হন।
আর মুক্তিযুুদ্ধের মানসিকতা নিয়ে অনেকেই ছেড়ে যান পিলখানা। খুলনা ইপিআর ছেড়ে যুদ্ধে যোগ দেন হাবিবুর রহমান হাওলাদার। ১৪টি জায়গায় যুদ্ধ করে পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করেন এই সাহসী যোদ্ধা। হাবিবুর রহমান হাওলাদার পরে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন।
অন্যদিকে চট্রগ্রামে রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের নেতৃত্বে ইপিআর সদস্যরা সাহসী ভূমিকা পালন করেন। বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সাহসী ভূমিকা পালন করেছিলেন ইপিআরে কর্মরত বাঙালিরা।
পরাগ আজিমের ভিডিও রিপোর্টে বিস্তারিত: