শেষ মুহূর্তের গোলে দারুণ এক জয়ে আটালান্টার হবু-রূপকথা থামিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পৌঁছেছে পিএসজি। একটা সময় মনে হচ্ছিল আটালান্টা-শামুকে বুঝি পা কাটতে যাচ্ছে ফরাসি জায়ান্টদের। শেষঅবধি তা হয়নি নেইমার ঝলকে! নিজে গোল না পেলেও দু’গোল করানো ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ম্যাচের পর জানিয়েছেন, বিশ্বাস ছিল তার দল যেভাবেই হোক ২৫ বছরে প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠবেই।
লিসবনে বুধবার রাতে মারিও পাসালিচের ২৭ মিনিটের গোলে প্রথমে এগিয়ে ছিল ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টাই। সেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে নেইমার দৃষ্টিকটুভাবে প্রথমার্ধেই একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলেছে পিএসজির গোল হাতছাড়ার মহড়া। একটা সময় মনে হচ্ছিল ভাগ্য বুঝি পিএসজির পক্ষ থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছে। ম্যাচ যখন ৮৯ মিনিট পেরিয়ে ৯০ মিনিটে গড়াল, তখন পিএসজি কোচ টমাস টুখেল ধরেই নিয়েছিলেন এবারও হয়তো খালি হাতেই ফিরতে হবে।
কিন্তু ৯০ মিনিটে এসে বাজিমাত করেন মার্কুইনোস। স্বদেশী নেইমারের শট প্রতিপক্ষের একজনের গায়ে লেগে ফিরলে সুযোগ কাজে লাগিয়ে একদম শেষ মিনিটে পিএসজিকে সমতায় আনেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। তিন মিনিট পর অতিরিক্ত সময়ে নেইমার-এমবাপের সমঝোতায় বানানো বলে আটালান্টার হৃদয় ভাঙেন ও এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং।
শেষ মুহূর্তের দুশ্চিন্তা চেপে রেখে যে দল সেমিতে উঠতে পেরেছে তাতে সতীর্থদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন নেইমার। হারের মুখ থেকে জয় নিয়ে ফেরা পিএসজি সেমিতে উঠতে পারবে না এমন দুশ্চিন্তা নাকি তার মাথাতেই আসেনি, ‘আমরা যে বাদ পড়বো এবং ফেরত যাবো, এমনকিছু কখনোই আমি ভাবিনি। আমি ফাইনালে খেলছি এমন ভাবনা কেউ আমার মন থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।’
‘খুব কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। সামনে আরেকটা কঠিন ম্যাচ বাকি আছে (সেমিফাইনাল)। আমাদের বিশ্রাম দরকার, কারণ খুব মানসিক ধকল গেছে। পরের ম্যাচটা ভালো করতে হলে আমাদের কিছু সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’