মালয়েশিয়ায় প্রহরির পিটুনিতে এক স্কুল ছাত্রের পা কেটে ফেলার পর এবার হাতও হারাতে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ডাক্তাররা। কিশোরটি এখন কোমায় রয়েছে| কিশোরকে প্রহারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক সহকারী প্রহরিকে।
মালয়েশিয়ার একটি প্রাইভেট ইসলামিক স্কুলে গত মার্চে ১১ বছর বয়সী ছাত্রটি প্রহরির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিভাবে এই অপকর্ম হলো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ তা খুঁজে বের করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আক্রমণের ভয়াবহতা নিয়ে তার ডায়েরি থেকে বিস্তারিত প্রকাশ করেছে মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম। তার ডায়েরি থেকে জানা যায়, দক্ষিণ মালয়েশিয়ার কোটা টিংগী স্কুলের একজন যদি ছাত্র ভুল করে তবে সবাইকে তার শাস্তি ভোগ করতে হয়।
প্রায়ই স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রহারের ভয়ে শিশুরা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেত।
দি নিউ স্ট্রেইটস টাইমস সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয: সংক্রমণরোধে গত শুক্রবার স্কুল ছাত্রটির পা কেটে ফেলা হয়েছে। হাতে রক্ত জমাট বাঁধায় শনিবার হাতেও অস্ত্রোপচার করা হয়।
তার চাচী বলেন, কুয়ালালামপুর হাসপাতালের ডাক্তাররা তার বাম কাঁধের জমাট বাঁধা রক্তপিণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। তার হাতটাও কাটতে হতে পারে।
২৪ মার্চ স্কুলের সমাবেশ ভবনে চেচামেচি করার কারণেই তাদের প্রহার করা হয়েছিল বলে তার বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় কিশোরটির পায়ের তালুতে প্রহার করা হচ্ছে।
ধর্মীয় স্কুলগুলোর সহায়তা গ্রুপ ফেডারেশন অফ ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আল-কোরান তাহফিজ ইন্সটিটিউশন (পিনটা) সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদ মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, জনগণের এখনই এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত হবে না। কেননা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে তদন্ত শেষ করার অনুমতি দিয়েছে।
সরকার ধর্মীয় স্কুলগুলোতে নজর দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।