চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাড়ি দেবো পদ্মা

বাংলা সাহিত্যের মানিকরতন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে যে জীবন-জীবিকা সংগ্রামের কথা ফুটিয়ে তুলেছেন, যারা জীবনে কখনো পদ্মা দেখেননি, তারাও পদ্মাপারের সাধারণ চিত্র হৃদ-পটে এঁকে নিতে পারবেন সহজেই। ওপারে গঙ্গা, গঙ্গোত্রিতে যার জন্ম, এপারে এসে পদ্মা। ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা’ -ভুবন মাতানো ভূপেনের গান। হাজার বছর ধরে এই পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে কতো মানুষের প্রাণ গেছে কতো বিপাকে। এই পদ্মা বাংলার কৃষিসভ্যতায় কী বিপুল অবদান রেখে চলেছে। এই পদ্মা রাক্ষুসী-সর্বনাশা হয়ে দু’পারের ভাঙ্গনে ভাঙ্গনে কতো পরিবারের কপাল ভেঙ্গেছে। এই পদ্মা বিভক্ত করে রেখেছে বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কতো প্রান্তর। সেই পদ্মা পাড়ি দেবার জন্য একটি সেতুর স্বপ্নে আন্দোলিত কতো কোটি মানুষ।

বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় ইস্যু ‘পদ্মা সেতু’ দশকের পর দশক ধরে। সর্বপন্থার রাজনীতির লোকেরা পদ্মা সেতুর পক্ষে কথা বলেন। সব আমলেই পদ্মা সেতু নিয়ে কিছু কথা, কিছু উদ্যোগ চলে। সে উদ্যোগ চলে চলে চলেনা। ২০০৮ সনে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বের সূচনা থেকেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের নৌকায় শক্ত হাতে হাল ধরে উড়িয়ে দেয়া হলো উদ্যোগের পাল। আর কী আশ্চর্য, এই দুনিয়া জাহানের ব্যাংকটিও তার সৃষ্টি-সূচনা থেকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো বিনিয়োগের নজির সৃষ্টি করলো পদ্মা সেতু নির্মাণে সমর্থন দিয়ে। ওদের দেখে এগিয়ে এলো এশিয়া, জাপান, ইসলামী ব্যাংকের পুঁজিও। বর্ষায় প্রমত্ত পদ্মা। এখানে সেতু নির্মাণ হচ্ছে প্রকৌশলীদের জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। সেতুর অর্থায়ন আর নির্মাণ-ডিজাইনের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা হলো নিপুনভাবে। কিন্তু রাজনীতির আক্রোশ আর ছোবল থেকে রেহাই মিললো না পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের।

কেন? কেন? কেন? একই সঙ্গে এতোবার ‘কেন’ প্রশ্নটিই বা উত্থাপিত হলো কেনই বা। পৃথিবীতে আর কোনো এমন বিশাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র হয়েছে কিনা জানা নেই। এই প্রকল্পটি সময়মতো সম্পন্ন হলে শেখ হাসিনা নেতৃত্বের ভাবমূর্তি জনগনের মধ্যে এমনভাবে উজ্জ্বল হবে যে ২০১৪ সনেই ‘হাসিনা-বিতাড়ন প্রকল্প’ কঠিন হয়ে পড়বে। এই ছিলো ওদেও শংকার ডংকা।

তা ‘হাসিনা-বিতাড়ন প্রকল্প’ কেন? খুব সহজ কথা। সীমান্ত রেখা ১৯৭১। একটি সুতীব্র মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ। যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা এবং পৃথিবী থেকে ‘চ্যূত’ যে করতেই হবে। অতএব যুদ্ধাপরাধীদের দেশি-বিদেশি সকল শক্তি যুক্ত হলো এই ‘বিতাড়ন-প্রকল্পে’।

পৃথিবীর ‘মহাপ্রভু’ দেশটি চেয়েছিলো বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দরটি হবে তাদের ঘাঁটি। শেখ হাসিনা নেতৃত্ব তাতে সম্মত হয়নি। এত্তো বড় সাহস এই ‘পুঁচকে’ দেশের নেত্রীর! এবার বুঝিয়ে দেবো। অতএব ওদের প্রফেসর দূতটি ‘পাগল’ হয়ে গেলো! সমাজের উঁচু স্তরের সুশীল-বুদ্ধিওয়ালা, সম্পাদক, ক্ষুধাসহ নানা প্রকারের সুশীল বিশেষজ্ঞ, অর্থনীতি পন্ডিত সব গোলন্দাজদের একত্র করে প্রফেসর-বাংকার থেকে গোলা নিক্ষিপ্ত হতে থাকলো হাসিনা-ক্ষমতাকেন্দ্রে। প্রফেসর সাহেবের ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রীয় কুশলীরা এতদঞ্চলে প্রথমবারের মতো জামায়াত আর ‘কওমী’ গোষ্ঠীকে অনেক কসরৎ করে একত্র করে বিশাল গর্জনে মাঠে নামিয়ে দিলো।

আর পদ্মা সেতু প্রকল্প? সেখানে একটি পয়সাও না দিয়েই দুনিয়া জাহানের ব্যাংকটি চিল্লাফাল্লা শুরু করে দিল, ইয়া আল্লাহ, পদ্মা সেতুতে যে বিশাল দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়ে গেছে! অতএব ইহা করো, উহা করো। না না হে বাংলাদেশ সরকার, তোমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নাওনি। অতএব ‘ আনা গানা, কুমিরের ছানা হপ’ বলে ওরা একদিন হঠাৎ পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে ফট করে সরে গেলো। না, বিশ্বব্যাংকের বোর্ড পর্যায়ে এই প্রত্যাহার-সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাপ করেননি তখনকার ব্যাংকের প্রধান কর্তা জোয়েলিক। তার চাকুরীর মেয়াদের শেষদিনে তিনি প্রত্যাহার-পত্রে স্বাক্ষর দিয়ে ভেগে গেলেন বিশ্ব-ব্যাংক দফতরের দায়িত্ব থেকে।

তা জোয়েলিক সাহেব এমন উন্মাদ হয়ে গেলেন কেন? তাকে বিশ্ব ব্যাংক-প্রধানের আসনে বসিয়েছিলেন ম্যাডাম হিলারী। সেই হিলারীর চাওয়া যে ‘কৃতজ্ঞ’ জোয়েলিককে পূরণ করতেই হবে। তা হিলারী মহিয়সীই বা এমনতরো ‘ব্যাকুল’ হয়ে গেলেন কেন পদ্মা সেতু প্রকল্পটি বিনাশ করতে? সে কার্যকারণতো দুনিয়া জুড়ে এখন জানা। আমাদের শান্তি-মহামানবের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের বিরোধ, বিবাদ, বিতর্ক। হিলারী ক্লিনটন পরিবারের ‘নিতান্ত-একান্ত’ হলেন শান্তি-মহাপুরুষ। হাসিনা-বিতাড়ন প্রকল্পে যে শান্তি মিস্টারেরও তাই একান্ত যোগ। অতএব যে নদীটির নামও শুনেননি হয়তোবা হিলারী কখনো, সেই পদ্মা পাড়ি দেবার আয়োজনকে হঠাৎ ভন্ডুল করে দেবার জন্য তার একান্ত অনুচরের আবদারটুকুতো রক্ষা করবেনই। বিশ্বব্যাংকে চাকুরী করা কতিপয় বিএনপি বড় কর্তারাও এ কাজে সম্ভার দিয়েছেন প্রাণপণ।

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পাশ থেকে বিশ্বব্যাংক সরে দাঁড়ালো। আর বাংলাদেশে ‘হাসিনা-বিতাড়ন প্রকল্পে’র সকল সাঙাৎ সাংঘাতিক আনন্দে বীভৎস উল্লাসে মেতে উঠলো। পদ্মা সেতু আর শেখ হাসিনা সরকার বুঝি একসঙ্গেই শেষ হয়ে গেলো। না, হিলারী বোঝেননি, জোয়েলিক বোঝেননি, ‘হাসিনা-বিতাড়ন’ প্রকল্পের বাদবাকী কেউ বোঝেননি, ভুল করেও ভাবতে পারেননি বাংলার মাটি-প্রতিরোধের কতো শক্ত ঘাঁটি। সেই মাটির উপর দাঁড়িয়ে বাংলার নেত্রী বললেন, এবার আর কারো কাছে হাত পাতা নয়। এবার নিজেদের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু গড়ে তুলবে বাংলাদেশ। সেই থেকে শুরু হলো এক অনবদ্য উদ্যম। অভাবনীয় গাতিতে এগিয়ে চললো সব কাজ। অতঃপর ২০১৫ সালের বিজয়ের ডিসেম্বর মাসে পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান অংশের কাজের সূচনা করলেন বাংলাদেশ নেত্রী। সে দিনটিতে মনে হলো পদ্মা নদীর ওপর হাজার হাজার ছোটবড় নৌযানে বিজয়ের বাংলাদেশ পতাকা হাতে ছুটছে লাখো বাঙালি। ওদের সকল বাধা ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যাবেই বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু প্রকল্প বিনাশের মূল ষড়যন্ত্রীদের চেহারা সেদিন কেমন হয়েছিলো জানিনা। সকল কাঁটা ধন্য করে পদ্মা সেতু নির্মাণের সূচনা-ফুল ফুটলো। এখন অপেক্ষা করছি ২০১৮ সালে ঐ পদ্মা পাড়ি দেবো কবে। যেতে চাই সড়ক দিয়ে। ফিরবো রেলপথে।

বাংলাদেশের নেত্রী এতো বড় সাহস করলেন কিভাবে? বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল ভান্ডারে যে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের যা সর্বকালের রেকর্ড। মূলতঃ যে লাখো লাখো বাংলাদেশ-বাঙালি আজ পৃথিবীময় শ্রম-বুদ্ধি-মেধার পরিচয়ে সমুজ্জ্বল, তাদের প্রেরিত অর্থের শক্তিতে বাংলাদেশ নেত্রী এতোটা দৃঢ় মেরুদণ্ডের স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন। জনগণের শক্তিতেই তিনি এতোটা শক্তিময়ী, সাহসী এবং দৃঢ়চেতা। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়েও এতোটা অবিচল উজানের মাঝি।

বিশ্বব্যাংক থেকে চলে গেলেন জোয়েলিক। বিশ্বব্যাংক প্রধান এলেন নতুন একজন। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবেও আর থাকলেন না হিলারী। বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে অবকাঠামোয় এমন বিনিয়োগের ঘোষণা এবং প্রত্যাহারের উল্টাপাল্টা সার্কাস আর দেখা যায়নি। বিশ্বব্যাংকে চাকুরী করলেইতো আর সকলের সবটুকু বিবেক বিলীন হয়ে যায় না। অতএব জোয়েলিক-হিলারী বিদায়ের কিছুকাল পরই দেখা গেলো বিশ্বব্যাংকের গভীর থেকে কিঞ্চিৎ সত্য এবং কিঞ্চিৎ বিবেকের ধ্বনি নানাদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ইঙ্গিতে জানালো, ভুল হয়ে গেছে ব্যাংক দফতরে। এমনভাবে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের যুক্তি যে সামান্য ধোপেই টেকেনা, এমন কথাই শুনতে পেলাম ওদের দরবার থেকে। গোপনে ইশারা দিলেন তারা, তোমরা চাইলে আমরা ফিরেও আসতে পারি। ওদিকে এশিয়া ও জাপানওয়ালারাও ঐ ইশারাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদেরও ফিরে আসার সম্ভাবনার কথা জানালেন। ইসলামী বিশ্বব্যাংকও সে কাতারে দাঁড়ালো। কিন্তু এতটুকু কাৎ কিংবা কাতর হলেননা বাংলাদেশ নেত্রী। তিনি বললেন, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু গড়বো বলে যে ঘোষণা দিয়েছি, তাতেই আমরা অটল-অবিচল। একবার সরে দাঁড়ালাম, আবার ফিরে এলাম-এমনতরো ক্যারিকেচারে আমরা নেই। এমন ঘোষণায়ও চমকে গেলো বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি প্রদান-প্রত্যাহারের মূল কুশীলবেরা। এমন শক্তি-সাহস-চ্যালেঞ্জ প্রদানের দৃপ্ত উৎসময়ীর রহস্য কোথায়? রহস্য অবশ্যই আছে। সেটা হচ্ছে ডিএনএ। তাঁর জনকের অমন শক্তি আর সাহসের ফলেই পৃথিবীর মানচিত্রে সৃষ্ট হয়েছিল বিস্ময়ের বাংলাদেশ।

কোন কোন বাক্যপন্ডিত বলেন, ঠিকই পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। একটি প্রকল্পে অতো হাজার কোটি টাকা খরচ হবে আর দুর্নীতি এতটুকু হবেনা এমন একটি নজির পৃথিবী জুড়ে কেউ দেখাতে পারবে কী? খোদ বিশ্বব্যাংকের খোঁড়লেই দুর্নীতির গোখরো সাপ বাসা বেঁধে আছে। যে ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্বে’ বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, একই যুক্তিতে তাকে যে পৃথিবীর প্রতিটি প্রকল্প থেকেই সরে দাঁড়াতে হয়। বিশ্বব্যাংকের জোয়েলিক-উত্তর নেতৃত্ব যে কমপক্ষে তাদের ভুলটুকু ইশারায় হলেও স্বীকার করে নিয়েছে, সেটাও ওদের ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’কে নস্যাৎ করে দেয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাভাষী প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বাবু সেদিন বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন। আমাদের মানিকগঞ্জের রত্নমানিক বিশ্ব ব্যক্তিত্ব অমর্ত্য সেনের জ্ঞানশিষ্য কৌশিক বসু যেমন বাক্য কৌশলে পদ্মা সেতু প্রকল্প বৃত্তান্ত অতি সংক্ষেপে বয়ান করে গেলেন, তাতে তাকে অজ সালাম জানাই। তিনি বললেন, অনেক সময় খারাপ কিছু থেকেও ভালো সংবাদ সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের প্রত্যাহার সিদ্ধান্তটি ছিলো খারাপ। আর বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে সুসংবাদ। এমন চিত্তমনোহর বাক্য কৌশলে সত্যিই বিমুদ্ধ হয়েছি দারুণভাবে।

জীবনের পড়ন্ত বেলা। শরীরে কঠিন বিপাক। পদ্মা সেতু চালু হলে প্রথম সুযোগেই পাড়ি দেবো পদ্মা। যাবো সড়কে ফিরবো রেলে। এমন একটি স্বপ্ন মাথায়। এমন স্বপ্নকে আঘাতে আঘাতে যারা দু’টি বছর পিছিয়ে দিলো, সেই ষড়যন্ত্রীদের দেশি-বিদেশি চেনা অচেনা মুখগুলোর কথা মনে পড়ছে। ওরা আমাদের দু’টি বছর কেড়ে নিয়েছে। ওদেরকে চীৎকার করে বলতে চাই, ফিরিয়ে দাও আমাদের দু’টি বছর। এর ফলে আর্থিক হিসাবে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে হবে হিলারী-জোয়েলিক-‘শান্তি মহামানব’-‘সুশীল’ দানবদের।

নির্মিত পদ্মা সেতুর পাশে যেন অমনি একটি ফলক নির্মাণ করে রাখা হয়, সেখানে ঐ সেতু নির্মাণে দু’টি বছর কেড়ে নেয়া ভিলেনদের কথা লেখা থাকে। বাংলাদেশের জনগণের পাওনা দু’টি বছর ধ্বংস করা ক্ষতিপূরণের অর্থ ফিরিয়ে দেবার কথা যেন লেখা থাকে। মানবসভ্যতার সুশাসনের স্বার্থেই এটা প্রয়োজন।

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। এ লেখাটির ভাষারীতিও লেখকের নিজস্ব)