চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘পার্ট-টাইম’ স্পিনারেই বিধ্বস্ত ইংল্যান্ড

ঘরের মাঠ, পেসারদের স্বর্গরাজ্য। তাই মূল বোলারদের বাইরে রোস্টন চেজকে তুলনামূলক কমই ব্যবহার করতেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কী জানত খণ্ডকালীন সেই স্পিনারের হাত ঘুরেই আসবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিখ্যাত এক জয়!

ব্রিজটাউনে তৃতীয় দিন থেকেই খানিকটা কাপাকাপি করে ইংল্যান্ড ইঙ্গিত দিচ্ছিল টেস্টটা হারতে চলেছে তারা। চতুর্থ দিনে সেই কাপাকাপি থামিয়ে দিয়েছেন রোস্টন চেজ। ৬০ রানে একাই ৮ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এনে দিয়েছেন ৩৮১ রানের বিশাল এক জয়।

রানের ব্যবধানটা যেমন ইংল্যান্ডের জন্য লজ্জার, তেমনি ক্যারিবীয়দের বর্তমান র‍্যাঙ্কিংটাও গায়ে জ্বালা ধরাচ্ছে জো রুটের দলকে। ১০৮ রেটিং নিয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ের তিনে থাকা দলের জন্য ৭০ পয়েন্টে আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো দুধভাত হওয়ার কথা!

কিন্তু সেই দলের কাছে নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম বৃহত্তম হার দেখতে হবে, এই ভাবনা পোড়াচ্ছে ইংলিশ মিডিয়াকে।

ভেবে পাচ্ছেন না রোস্টন চেজও! ক্যারিবীয় ক্রিকেটের চরম দুঃসময়ে তার হাত ধরেই যে বিখ্যাত এক জয় আসবে সেটা কিছুতেই মাথায় আসছে না খণ্ডকালীন অফস্পিনারের। চতুর্থ দিনে উইকেটে ফাটল দেখে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার তাকে বলেছিলেন পুরো দিনে ২৫ ওভার বল করা লাগতে পারে। চেজ করলেন প্রায় ২২ ওভার। তাতেই ঘটল ইংলিশদের সর্বনাশ।

আসলে ইংলিশদের সর্বনাশ ঘটেছে ওপেনার রোরি বার্নস ফেরার পরেই। একটা প্রান্ত আগলে ঠিকই সামলে যাচ্ছিলেন ক্যারিবীয় বোলারদের। ৮৪ রান করা এই ওপেনারকে বোল্ড করে ইংল্যান্ডকে ধাক্কাটা দেন চেজ। তার আগে আরেক ওপেনার কিট জেনিংস ফিরেছেন জোসেপের বলে স্লিপে হোল্ডারের হাতে ধরা পড়ে।

বার্নস ফেরা পর্যন্ত ইংলিশদের স্কোরবোর্ডটা ভদ্রই ছিল, ২ উইকেটে ১৩২ রান। এরপর থেকে নিয়মিত ধাক্কা মারা শুরু করলেন চেজ। আর ঝুরঝুর করে ভেঙে পড়া শুরু করল ইংল্যান্ডের লাইনআপ। শেষদিকে ৩৪ রানে ৬ উইকেট পড়েছে ইংল্যান্ডের!

ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেও অবশ্য ম্যাচ সেরা হননি রোজ। হয়েছেন আট নম্বরে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি করা তার অধিনায়ক হোল্ডার। ম্যাচে সেঞ্চুরির পাশাপাশি দুই উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নিয়েছেন তিনটি ক্যাচ।