চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পাবনায় কমে যাচ্ছে আখ চাষ

পাবনা চিনিকলের জন্য আখ চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিলো নয় হাজার একর। কিন্তু এবার চাষ হয়েছে মাত্র পাঁচ হাজার একর। প্রতি বছরই আখ চাষের জমির পরিমান কমছে। প্রয়োজনীয় ভর্তুকি ও আখের ন্যায্য দাম না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারনে পাবনায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। অনেকে সময়মতো উৎপাদিত আখের দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনছেন।

কৃষক জানান, গত ছয় বছরে আখের দাম মন প্রতি বাড়ানো হয়েছে মাত্র ১০ টাকা করে। অথচ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অনেক। পাবনার এক কৃষক বলেন, প্রতি মনে ১০ টাকা বাড়লেও আমাদের ব্যয় ভার বেড়ে গেছে। শ্রমিক আগে যেটা তিনশত টাকায় পাওয়া যেত এখন সেটা পাঁচশত টাকার কমে পাওয়া যায় না।

কৃষকের দাবি, দীর্ঘমেয়াদি ফসল আখের পরিবর্তে একই সময়ে ওই জমিতে চারটি ফসল আবাদ করা সম্ভব। চিনিকল আখ চাষী ফেডারেশন সাধারন সম্পাদক শাজাহান আলী বাদশা বলেন, আখ চাষ করতে গেলে আমাদের কিছু সুবিধা দেওয়া হতো। আগ রোপনের উপর আমাদের ভতুর্কি দেওয়ার কথা ছিল সেটা থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

পাবনা চিনিকলে চাষি সমাবেশে আসা কৃষকরা জানান, উই পোকার আক্রমনে ফলন কমে প্রায় অর্ধেকে এসেছে। চিনিকল কর্তৃপক্ষ বলছে, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে চিনিকল। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেন বলেন, যদি আখ চাষ যথাযথ হয়, মিলের চাহিদা অনুপাতে আখ সরবরাহ হয়। আমরা যদি চাহিদা অনুপাতে চিনি সরবরাহ করি তবে মিলের সফলতা ফিরে আসবে।

পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ, আমাদের সুগার মিলগুলোতে মাত্র দেড় লক্ষ মেট্রিক টন চিনি উৎপন্ন হয় সেই চিনি বিক্রি হয়না।

গত ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে মাড়াই শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আড়াইশ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলছে পাবনা চিনিকল।