অবাধে ভারতীয় পান আমদানি হওয়ায় দেশীয় পান মার খাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে কম দাম ও আকারে বড় হওয়ায় দিনে দিনে ভারতীয় পানের চাহিদা বাড়ছে ক্রেতার কাছে। পানের ভরা মৌসুমেও দেশী পানের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে।
গাইবান্ধা সদরসহ গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ি, সাদুল্যাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একশো’৫১ হেক্টর জমিতে এবার উন্নতজাতের পান চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে ১১শ’ ৪০ মেট্রিক টন।ফলন পর্যাপ্ত হলেও দেশীয় পানের চাহিদা নেই বাজারে।
স্থানীয় এক পান চাষী জানান, দেশীয় পানের তুলনায় ভারতীয় পানের পাতা বড় হওয়ায় উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না তারা।
বাজারগুলোতে ভারতীয় পানের চাহিদা বেশী থাকায় বিক্রি হচ্ছে না দেশীয় পান।
চাষী জানান, এসব পান স্বাদে ও মানে ভালো হলেও ক্রেতারা ভারতীয় পানে আকৃষ্ট হচ্ছেন বেশী। এতে দেশী পানের ন্যায্য দাম পাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। উৎপাদন ব্যয় থেকে বিক্রি অনেক কম দামে বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ।
গতবার এ সময়টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি বিড়া দেশীয় পান বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এ বছর তা নেমে দাড়িয়েছে ২০-২৫ টাকায়।
কোনো আইন বা বিধি নিষেধ না থাকায় ভারতীয় পান আমদানি হচ্ছে অবাধে। সঠিক পরিচর্যায় দেশীয় পানের আকার আকৃতি বড় ও মান ভালো করতে পারলে ভারতীয় পানের আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা,সাহারা বানু বলেন, আমরা যদি আমাদের পানের আকার ভারতীয় পানের মত করতে পারি তবেই ভারতীয় পানের আগ্রাসন বন্ধ করা সম্ভব হবে।
জেলায় এ বছর ধোপাঘাটি, সাঁচি, রাজশাহী, বাংলা, বিক্রমপুরি ও তালতলী জাতের পানের আবাদ হয়েছে বেশী।