যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্বলিত জেন্ডার সংবেদনশীল শিক্ষার জন্য পাঠ্যপুস্তকে প্রয়োজনীয় বিষয় অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণের দাবি জানিয়েছে ইউবিআর বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স। ‘ন্যাশনাল স্ট্রাটেজি ফর অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ ২০১৭-২০৩০’ বাস্তবায়নে সকল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বয়স উপযুক্ত সমন্বিত যৌনতা, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
বুধবার হোটেল গোল্ডেন টিউলিপ: দ্য গ্রান্ড মার্ক হোটেলে ইউবিআর বাংলাদেশ অ্যালায়েন্সের উদ্যোগে ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্বলিত জেন্ডার সংবেদনশীল শিক্ষার জন্যে চাই পাঠ্যপুস্তকে প্রয়োজনীয় বিষয় অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন: শিক্ষক প্রশিক্ষণ কারিকুলামে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষকগণকে জেন্ডার সংবেদনশীল যৌন ও প্রজননস্বাস্থ্য শিক্ষা এবং অধিকার সংক্রান্ত শিক্ষা প্রদানের জন্য যথাযথ দক্ষ করে তুলতে হবে। ব্যাচেলর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন (বিপিএড) কোর্স ও মাধ্যমিক পর্যায়ের যে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঠদান করেন তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষন প্রদান করতে হবে।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার। এছাড়া অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- ক্রীড়া, ক্রীড়া পরিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব ড. মো. আমিনুল ইসলাম, ঢাকার সরকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কানিজ সৈয়দা বিনতে সাবাহ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, নেদারল্যান্ডস দুতাবাসের এসআরএইচআর ও জেন্ডার বিষয়ক সিনিয়র অ্যাডভাইজার মাসফিকা জামান সাতিয়ার। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন ইউনিসেফ, ইউএনএফপিএ, প্লান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভা প্রধান হিসেবে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন ইউবিআর বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স-এর চেয়ার রোকেয়া কবীর। ইউবিআর অ্যালায়েন্সের পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন- আরএইচস্টেপ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী সুরাইয়া সুলতানা, ডিএসকে’র নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ, পিএসটিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. নুর মোহাম্মদ, এফপিএবি’র নির্বাহী পরিচালক মতিউর রহমান।
এছাড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ইউবিআর বাংলাদেশ অ্যালায়েন্স- বাংলাদেশের ৯টি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত, যা নেদারল্যান্ডস দুতাবাসের অর্থায়নে পরিচালিত। উক্ত ৯টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- বাপসা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, পপুলেশন সার্ভিসেস এন্ড ট্রেনিং সেন্টার, আরএইচস্টেপ, বন্ধু সোসাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ব্রাক আইডি এবং নারীপক্ষ।