ম্যাচ ফিক্সিং পাকিস্তান ক্রিকেটের সঙ্গে প্রায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। অতীতে তো ছিলই, ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে সাম্প্রতিক সময়েও। এরমধ্যই আবার সেদেশের ক্রিকেটে পড়তে যাচ্ছিল ফিক্সিংয়ের কালো থাবা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। সেখানে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালেই অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে প্রস্তাব দিয়েছিল জুয়াড়িরা। তবে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেশের ক্রিকেটকে আরেকটি কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করেছেন সরফরাজ। পাশাপাশি জুয়াড়িদের তৎপরতার বিষয়টি বোর্ডের দুর্নীতি-বিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিটকে জানিয়ে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
সরফরাজ ছাড়াও জুয়াড়িদের টার্গেটে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় ছিল বলে জানাচ্ছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমগুলো।
জিও নিউজ জানিয়েছে, সরফরাজ ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান গত বুধবার, তৃতীয় ওয়ানডের আগে। তখন তিনি শপিং করতে মার্কেটে গিয়েছিলেন। মার্কেটে এক জুয়াড়ি ভক্ত সেজে সেলফি তোলার অজুহাতে তাকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়।
পিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ব্যাপারটি অনেক গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সরফরাজের জন্য অনেক শ্রদ্ধা। একজন খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক হিসেবে সে সতীর্থদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যে, কীভাবে অন্যায় প্রস্তাব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে হয়।’
পিসিবি সূত্র জানায়, যে লোকটি সরফরাজকে প্রস্তাব দিয়েছিল, সে দুবাইয়ে বসবাস করে। তবে খুব সম্ভবত সরফরাজের সঙ্গে তার চেনাজানা রয়েছে। ঘটনার পর টিম ম্যানেজমেন্টের নজরদারি বৃদ্ধিসহ পাকিস্তান দলের জন্য ‘কারফিউ’ জারি করা হয়েছে বলে বোর্ড জানিয়েছে।