পাকিস্তানের লাহোরের গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরো তিন শতাধিক মানুষ।
রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পরপর ওই পার্কে এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডন। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের একটি শাখা গ্রুপ জামায়াত-উল-আহরার। গুলশান-ই-ইকবাল পার্কে ইস্টার সানডে উদযাপনরত পাকিস্তানের খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
দেশটির একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলাটি ছিলো আত্মঘাতী। পার্কে শিশুদের জন্য নির্ধারিত এলাকায় ওই পার্কে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
ইকবাল টাউন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করে বলেছেন, বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশুর উপস্থিতিতে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়।
পুলিশ আত্মঘাতি হামলাকারীর মাথা এবং বোমায় ব্যবহৃত উপাদান উদ্ধার করলেও হামলাকারীর পরিচয় এখনো সনাক্ত করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, বোমা বিস্ফোরণের পর পার্কটি রক্ত গঙ্গায় পরিণত হয়, যেখানে সেখানে মানুষের ছিন্ন বিছিন্ন দেহের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, আমরা দ্রুত আহতের রিকশা ও ট্যাক্সি যোগে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তবে পার্কের কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দ্য ডন নিউজকে জানায়, প্রচুর লোকের আগমন ঘটে পার্কটিতে, প্রবেশ পথে কয়েকটি গেট থাকলেও কোন নিরাপত্তা রক্ষাকর্মী উপস্থিত ছিল না।
লাহোরের সব সরকারি হাসপাতালে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পাঞ্জাব সরকার তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে।
ইস্টার সানডে’র ছুটি উপলক্ষে লাহোরের অভিজাত এই পার্কটিতে নারী ও শিশুদের উপস্থিতিতে প্রধান ফটকের কাছে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী হামলাকারী।