দুই যুগ পর পাকিস্তানে টেস্ট খেলছে অস্ট্রেলিয়া। সফরকারীদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আতিথেয়তায় কোনো কমতি রাখছে না পাকিস্তান বোর্ড। মাঠের লড়াইয়েও খামতি রাখছে না বাবর আজমের দল। অস্ট্রেলিয়াকে হতাশায় ডুবিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথমদিন নিজেদের করেছে স্বাগতিকরা।
শুক্রবার বেনো-কাদির ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথমদিনে ছড়ি ঘুরিয়েছেন পাকিস্তানের তিন ব্যাটার। প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কদের বিপক্ষে ধৈর্য রাখার খেলায় ভালোই উতরে গেছেন তারা। ক্যারিয়ারের প্রথম শতক পেয়েছেন ইমাম-উল হক, সেঞ্চুরির পথে আছেন আজহার আলী। দিন শেষে দলও আছে দারুণ অবস্থায়। ৯০ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান তুলেছে ২৪৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান- ২৪৫/১ (প্রথমদিন শেষে)
পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার দুই কিংবদন্তির নামে আয়োজিত সিরিজের সফরকারীদের হতাশা শুরু প্রথম বল থেকেই। উইকেটের জন্য লড়তে হয়েছে কামিন্সের দলকে। একাদশের অভিজ্ঞ, কম অভিজ্ঞ হয়ে একেবারে আনকোরা বোলাররাও চেষ্টা করেছেন উইকেট তুলতে। অজি অধিনায়ক কামিন্স এদিন একাদশের আটজনকে ব্যবহার করেছেন। সাফল্য বলতে একমাত্র নাথান লায়নই যা একটু পেয়েছেন।
লায়ন যখন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিককে ফেরান, পাকিস্তানের সংগ্রহ শতক ছাড়িয়েছে। শফিক নিজেও ছিলেন পঞ্চাশের কাছাকাছি। ৪৪ রানের মাথায় রাখতে পারেননি ধৈর্য। ১০৫ বলের ইনিংস থেমেছে কামিন্সকে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর উইকেটের জন্য হাঁসফাঁস শুরু অস্ট্রেলিয়ার। চলে দিনের শেষ বল পর্যন্ত। মাঝে আট বোলার ব্যবহার করে কামিন্স থামাতে পারেননি স্বাগতিক ওপেনার ইমাম-উল হক ও তিনে নামা আজহার আলীকে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১৪০ রানের জুটি গলার কাঁটা হয়েছে অজিদের।
স্বাগতিকদের দিনটা নিজেদের করার অন্যতম কারিগর ইমাম-উল হক। ক্যারিয়ারের ১২ টেস্ট খেলতে নেমে চতুর্থ ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসকে রূপ দিয়েছেন শতকে। প্রথম শতকের পর থামেনি বাঁহাতি ব্যাটার। এগিয়ে যাচ্ছেন দেড়শর দিকে। ২৭১ বলে ১৩২ রানে অপরাজিত আছেন।
অপর প্রান্তে ইমামকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অভিজ্ঞ আজহার। দিনশেষে তিনি তুলেছেন ৩৫তম ফিফটি, এগোচ্ছেন ১৯তম শতকের পথে। আছেন ৬৪ রানে অপরাজিত।