১৪ দল নেতারা বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা না রাখার সিদ্ধান্ত হবে জনমতের ভিত্তিতে। পাকিস্তানের শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ আর খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধনে নেতারা শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলাকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন।
রাজধানীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সংগঠন, যারা উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অব্যাহত ষড়যন্ত্র এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে ছিলো এই মানববন্ধন। গাবতলী থেকে শুরু করে আসাদগেট, রাসেল স্কয়ার, সোনারগাঁও হোটেল, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, গুলিস্তান, ইত্তেফাক মোড় হয়ে মানববন্ধন গিয়ে শেষ হয় সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়িতে। বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নেতারা। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থান এবং সেদেশে বাংলাদেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের কঠোর সমালোচনা করেন নেতারা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশ আজ চিন্তা করছে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে কি থাকবে না। এটা আমরা চাই, পাকিস্তান তাদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করবে। তারা যদি না ভুলে যায় যে বাঙালী বাঁশের লাঠিকে মরণাস্ত্র বানিয়ে তাদের পরাস্ত করেছিলো। তাই আমরা বলতে চাই, পাকিস্তান এই হস্তক্ষেপ বন্ধ করো, হাত গুটিয়ে নাও।
১৪ দল নেতারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালেদা জিয়া প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তান এবং আইএসের হয়ে কাজ করছেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা তাকে গ্রাস করেছে। কিন্তু বাংলার মানুষের শান্তি আমরা বিনষ্ট করতে দিবো না।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চায়, যারা ৩০ লক্ষ শহীদদের নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চায় তারা রাষ্ট্রদ্রোহী, তারা দেশের শত্রু। জনগণকে নিয়ে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বাইরে সারাদেশে মানববন্ধনের ঘোষণাও দিয়েছে ১৪ দল।