গত বুধবার ভোর রাতে পাঁচ মাস বয়সী অসুস্থ কন্যা শিশু সুমাইয়া আক্তারকে ঘরে রেখে পালিয়ে যান মা আছিয়া খাতুন। ওই দিন দুপুরে শিশুটিকে নিয়ে শিশুর নানী হাজির হন বাহুবল থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান শিশুর অবস্থা দেখে তাৎক্ষণিক বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চলছে শিশুটির চিকিৎসকা।
সিলেট টুডে টুয়েন্টি ফোর ডটকমের বরাত দিয়ে জানা যায়, বাহুবল উপজেলার শেওরাতলী গ্রামের শ্যামল ওরফে সৈকতের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয় হাছনাবাদ গ্রামের আছিয়া খাতুনের। এটি আছিয়া খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের কয়েক মাস পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন আছিয়া। আর সেখানেই জন্ম হয় সুমাইয়ার।
সুমাইয়া গত চারদিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছিলো। শরীরে দেখা দিয়েছিল পানিশূন্যতা। এরই মাঝে বুধবার ভোর রাতে পাঁচ মাস বয়সী অসুস্থ শিশু সুমাইয়াকে ঘরে রেখে মা নিরুদ্দেশ হন।
এদিকে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর বাহুবল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন:
“হায়রে মা……..
পাঁচ মাস বয়সী অসুস্থ সুমাইয়া আক্তারকে আজ ০১/০২/২০১৭ তারিখ ফজরের নামাজের সময় তার মা আছিয়া খাতুন মাতৃগৃহে ফেলে অজানার উদ্দেশ্যে পলায়ন করেছে।
সুমাইয়ার নানী বেলা সোয়া বারোটার সময় আমার কক্ষে এসে হাজির। অসুস্থ বাচ্চাটিকে দেখে তাৎক্ষনিক বাহুবল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলাম। থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অন্যান্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় সকলের আন্তরিকতায় শিশুটির চিকিৎসা চলে।
শিশুটি গত চারদিন যাবৎ ডায়রিয়ায় ভুগছে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছিল। মাথায় গর্তের মতো দেখা যাচ্ছে। চোখ স্থির হয়ে আছে। মেয়েটির বাবা শ্যামল ওরফে সৈকতকে ফোন দিলাম। সে মাদকাসক্ত। সুমাইয়া কে তা সে জানে না। এমন উত্তর পেয়ে হতবাক হয়ে পড়লাম।
সবাই অসুস্থ সুমাইয়ার জন্য দোয়া করবেন। সে যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে। আমীন।
বর্তমানে শিশুটির মায়ের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।