পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ছবির নায়ক হিসেবে খ্যাতি লাভের পর নিজেই রাজনীতিতে জড়ান দেব। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জয়লাভ করেন ‘পাগলু’-খ্যাত এ নায়ক। ভারতের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অধ্যাপকদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ (এআরডি) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন।
ওই জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদে কে কতটা নৈপুণ্য দেখিয়েছে এবং অধিবেশনে হাজির ছিলেন। আর তাতেই দেখা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সাংসদ দেব পাঁচ বছরে মাত্র ২৯ দিন সংসদে উপস্থিত থেকেছেন। সংসদে দেবের প্রশ্নের সংখ্যাও খুব বেশি নয়। তিনি মাত্র তিনটি প্রশ্ন করেছেন।
উপস্থিতির নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি উপস্থিত ছিলেন ২৮২ দিন। দ্বিতীয় স্থানে রানাঘাটের সাংসদ তাপস মণ্ডল। তিনি ২৭৯ দিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা। তিনি ২৬৮ দিন সংসদে উপস্থিত থেকেছেন।
তৃণমূল সাংসদদের মধ্যে সবচেয়ে কমদিন উপস্থিত থেকেছেন ঘাটালের সাংসদ দেব ও উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। তারা দুজনেই ২৯ দিন করে সংসদে হাজিরা দিয়েছেন। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সাংসদ লোকসভায় কোনও প্রশ্নই করেননি।
সেই তালিকায় রয়েছেন, ঝাড়গ্রামের উমা সরেন, জলপাইগুড়ির বিজয় বর্মন, মথুরাপুরের চৌধুরি মোহন জাটুয়া, আলিপুরদুয়ারের দশরথ তিরকে, কলকাতা দক্ষিণের সুব্রত বক্সি, কলকাতা উত্তরের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার মুনমুন সেন, বনগাঁর মমতা ঠাকুর ও মেদিনীপুরের সন্ধ্যা রায়।
অভিনেত্রী শতাব্দী রায় করেছেন মাত্র দুটি প্রশ্ন, শিশির অধিকারী ও সুগত বোস মাত্র তিনটি করে প্রশ্ন করেছেন। দেবেরও প্রশ্নের সংখ্যা মাত্র তিন। সূত্র : জি নিউজ, ইন্ডিয়া