চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

পলাতকদের গ্রেফতার না করায় ট্রাইব্যুনালের অসন্তোষ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পরও তাদের গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেছেন, আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছেন মামলার বাদী ও সাক্ষীরা।

তবে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক বলেছেন, আইনে না থাকায় গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই তাদের।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের রাজাকার ও আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদ ও তার ভাই পলাতক ক্যাপ্টেন নাসিরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতনসহ ৭ ধরনের অভিযোগ আনা হয়।

রোববার শুনানিতে এই মামলার আসামি রাজাকার কমান্ডার আবদুল মান্নানসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতার না করা বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলায় তিনজন পলাতক আসামিকে কেনো গ্রেফতার করা হচ্ছে না তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে তদন্ত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন আদালত।

এরপর ওই ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে আদেশের জন্য ১৩ মে দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

এ সময় পলাতক আসামিদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানান রাষ্ট্রপক্ষ।

এদিন ট্রাইব্যুনাল-২ জামালপুরের ৮ রাজাকারের মধ্যে গ্রেফতার না হওয়া ৬ রাজাকার পলাতক কি না সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন আগামী ১৭ মে দাখিল করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ বলেন, আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষও অসন্তুষ্ট। বিচারপ্রার্থী এবং সাক্ষীরাও সন্তুষ্ট নন বলে জানান তিনি। আসামিরা বাইরে থাকলে বিচার বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

ট্রাইব্যুনালের মন্তব্যকে সমর্থন করে তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, আইনের সংশোধন না হলে পলাতকের সংখ্যা আরো বাড়বে।

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান বলেন, আইনে তাদের গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। যার ফলে আদালত এবং তদন্ত সংস্থাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। গ্রেফতারি ক্ষমতা না থাকায় অন্য মামলাগুলোতেও আদালতে আসামিকে হাজির করা সম্ভব হবে না।