একটি পাহাড়কে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে হিমালয় কন্যা নেপাল। প্রতিবেশী দেশের মতো সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশও পর্যটন শিল্পে আয় বাড়াতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশী পর্যটকরা।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে চন্দ্রগিরি পাহাড়ের পথ প্রায় দু’ঘণ্টার। দিগন্ত ছুঁয়ে যাওয়ার অভিলাসে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজার ফুট উচ্চতার পাহাড়ে অভিযান তাই চলতেই থাকে পর্যটকদের। পাদদেশ থেকে ক্যাবল কারে আড়াই কিলোমিটার ধরে পাহাড়ের সবুজ বনানীর গা বেয়ে উঠা সত্যিকার অর্থেই উত্তেজনাকর।
পাহাড় চূড়ায় পৌঁছাতে খানিকটা পথ যেতে হবে পায়ে হেঁটে। শীতল হাওয়ায় মেঘে ঢাকা আঁকা বাঁকা পাহাড়ি পথ। চোখে পড়বে চারদিকে গম্ভীর পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য আর নীচে মেঘের ছায়ায় ঢাকা চন্দ্রগিরি উপত্যকার থানকোট জনপথ।
চন্দ্রগিরি ঘিরে পর্যটনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ পাহাড়ের চূড়ার ভালেশ্বর মহাদেব নামের শিব মন্দির। হাজার বছরের পুরনো স্থাপত্যশিল্পের এ মন্দিরে মনের বাসনা পূরণে পূজো দেন অনেক পর্যটক ও ভক্ত।
দূরবিনে দূরের পাহাড় দেখা, শিশুদের থিম পার্ক আর ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে। বিনোদনের নানা আয়োজন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশী পর্যটকরা।
মেঘের রাজ্যে বিস্ময়, আনন্দ আর ভয়ের রোমাঞ্চকর যাত্রা শেষ হবে মুগ্ধতা নিয়েই।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: