দেশকে নিরক্ষরতা মুক্ত করে শিক্ষিত জাতি গঠনে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোমলমতি শিশুদের ওপর থেকে চাপ কমিয়ে তাদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। ছাপানো প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে শিশুদের ভর্তি না করে স্কুলে সরাসরি ভর্তির নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।
নিরক্ষরতা দূর করে শিক্ষার উন্নয়নে নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্য ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪ এর আলোকে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করুন, ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করুন। আপনাদের সকল কাজে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন ও সহযোগিতার দ্বার অবারিত থাকবে।”
পাশাপাশি প্রাথমিক স্কুলগুলোর অবকাঠামো ও শিক্ষার মানন্নোয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখনই একটি শিশুর ভর্তির বয়স হয়ে যাবে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। এটা তার অধিকার। যে শিশুটি ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হবে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তাকে ভর্তি হতে হবে কেন?”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শিশু যদি ছাপানো প্রশ্নপত্র পড়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার মতো জ্ঞানই অর্জন করে ফেলে, শিশুকে যদি লিখতে পড়তে শিখেই স্কুলে ভর্তি হতে হয়, তাহলে আর স্কুলে পড়াবে কি?
শিশুদের ওপর বই এবং পড়াশোনাকে বোঝা হিসেবে চাপিয়ে না দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বইয়ের বোঝা, তেমন পড়ার বোঝা এবং হোমওর্য়াক। এতো বেশি হোমওয়ার্ক দেওয়া হয় যে, যেদিন স্কুলে ঢুকলো তার পর দিনই স্কুল সর্ম্পকে শিশুদের ভীতি সৃষ্টি হয়ে যায়।
বছরের প্রথম দিন স্কুলে স্কুলে বই দেয়া, শিক্ষা ভাতা, উপবৃত্তি, মিড-ডে মিলচালুসহ নিরক্ষরতা দূর করতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য,সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূলকথা। সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।