ঢাকা নার্সিং কলেজের হোস্টেলে সুমাইয়া খাতুন সুরভী (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরীক্ষার জন্য তৈরি হতে বাথরুমে গেলেও পরীক্ষা দিতে পারেননি সুরভী, ফিরেছেন লাশ হয়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মৃতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।
নার্সিং হোস্টেলের একাধিক ছাত্রী জানান, বুধবার সকালে সুরভীর ক্লাস পরীক্ষা ছিল। সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ঘুম থেকে উঠে সে বাথরুম যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পরও বাথরুম থেকে না বের হওয়ায় সহপাঠীরা দরজা কড়া নাড়তে থাকে। তবুও সে দরজা না খোলায় সহপাঠীরা হাউজ কিপারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খবর দেয়।
নার্সিং হোস্টেলের দায়িত্বরত নার্স ফারহানা বেগম জানান সুরভী প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। প্রথম সেমিস্টারের একটি বিষয়ের ফল খারাপ করায় ওই বিষয়ে বুধবার তার পরীক্ষা ছিল।
ফারহানা বেগম জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে বাথরুমে যায় সুরভী। অনেক্ষণ বাথরুম থেকে না বেরুলে সুরভীর রুমমেটরা তাকে ডাকাডাকি করে। পরে তারা গিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে কমোডের উপর পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে পানি ছিটানো হয়। এরপরও কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সুরভী নওগা জেলার মান্দা উপজেলার চাকুলা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ নার্সিং হোস্টেলের পাঁচ তলায় একটি কক্ষে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতলের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল বাড়ৈ জানান, মৃতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।