চলচ্চিত্র নির্মাণতো অভিযানের মতোই। আর প্রথমবারের মতো সেই অভিযান শুরু করলেন চার শতাধিক খণ্ড নাটক ও ১৮ টি ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী।
প্রথম ছবি ‘বিশ্বসুন্দরী’, যার শুটিং শুরো হলো মঙ্গলবার থেকে। দীর্ঘদিন ধরে এ ছবির গল্প, শুটিং পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিলেন এ নির্মাতা। তিনি জানালেন, মঙ্গলবার (১৮ জুন) ফরিদপুরে প্রথম পর্যায়ের চিত্রধারণের কাজ শুরু হয়েছে।
চয়নিকা চৌধুরী বলেন, শুটিং পূর্ববর্তী কাজে সন্তুষ্ট না হয়ে আমরা কেউই এই স্বপ্নের প্রকল্পের কাজ শুরু করতে চাইনি। আমি আশাবাদী সবাই মিলে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবার মত একটি চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারবো।
পরিচালক জানান, প্রথম পর্যায়ের শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি, ফজলুর রহমান বাবু ও মনিরা মিঠুসহ আরো অনেকে। পরবর্তী লটে যোগ দেবেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সিয়াম আহমেদ, আনন্দ খালেদসহ অন্যরা।
শিল্পী তালিকায় রয়েছে আরো বেশ কিছু চমক। মঙ্গলবার ক্যামেরা ওপেন করার আগে ক্ল্যাপস্টিক দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ছবির মহরত অনুষ্ঠিত হয়। আবেগাপ্লুত নবাগত চলচ্চিত্র পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ১৮ আগস্ট ২০০১ সালে নাট্যপরিচালক হিসেবে দর্শক প্রথম আমাকে চিনেছিলেন। ১৮ বছর পর ১৮ তারিখেই চলচ্চিত্রের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম।
১৮ আগস্ট ২০০১, সেই দিনটিও ছিল মঙ্গলবার। এবারও মঙ্গলবারই আমার প্রথম চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হলো। পুরো বিষয়টিই কাকতালীয়। প্রকৃতিই হয়তো এমনটি চেয়েছিল। আশা করছি ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সবার সহযোগিতায় দর্শকদের মনে রাখার মত একটি চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারবো।
সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন রুম্মান রশীদ খান। এ ছবির মাধ্যমে প্রায় আড়াই বছর পর চলচ্চিত্রের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
তিনি বলেন, ‘স্বপ্নজাল’-এ অভিনয় করার পর থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ভালো মানের চলচ্চিত্র, মন ছুঁয়ে যাবার মত চিত্রনাট্য ও চরিত্র না পেলে আর কখনোই চলচ্চিত্রে কাজ করবো না। ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রের ‘শোভা’ চরিত্রটি শুধু আমি নই, যে কোনো অভিনেত্রীর জন্যই বিশেষ কিছু। আশা করি দর্শক আমার থেকে নতুন কিছু পেতে যাচ্ছে।