নেপালে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত সানজিদা হক বিপাশা, রফিক জামান ও ছেলে অনিরুদ্ধর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। ফেসবুকে এক বার্তায় গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে দূতাবাসটি।
দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় সানজিদা হক, তার স্বামী রফিক জামান ও ছেলে অনিরুদ্ধর মৃত্যুতে তাদের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সুশীল সমাজ কিভাবে ভূমিকা পালন করে সেই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ ভিজিটর প্রোগ্রামে সানজিদাকে পেয়েছিলাম বলে আমরা গর্বিত। তিনি অবিচারের বিরুদ্ধে এক কণ্ঠস্বর ছিলেন এবং দেশের উন্নয়নের জন্য সবসময় কাজ করেছেন।তাকে হারানো আমাদের জন্যও একটি ক্ষতি।
সোমবার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বোমবার্ডিয়ার ড্যাশ ৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ছেড়ে গিয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫১। এর মধ্যে ২৮ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি এবং ১ জন চীনা নাগরিক। চিকিৎসাধীন যাত্রীদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উড়োজাহাজটিতে থাকা ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশী, ৩৩ জন নেপালি, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক। উড়োজাহাজটিতে ৬৭ যাত্রীর পাশাপাশি ৪ জন ক্রু ছিলেন বলে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রথমেই মৃত্যু হয় ওই ফ্লাইটের সহকারি পাইলট এবং ইউএস বাংলার প্রথম নারী পাইলট পৃথুলা রশিদের। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদকে। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্যাপ্টেন আবিদও মারা যান।