রহমত আর ক্ষমার মাস পবিত্র মাহে রমজান শেষ হয়ে যাচ্ছে। পবিত্র এই মাসের শেষ দশকে পবিত্র লায়লাতুল কদরের রাত্রিতে সারাদেশের জনগণ রহমত ও ক্ষমার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা ও ইবাদতের মাধ্যমে কাটাচ্ছেন। বিভিন্ন হাদিস সূত্রে জানা যায় রমজানের শেষ ভাগ দোযখের আগুন থেকে মুুক্তি হিসেবে ঘোষণা করে গেছেন মহানবী (সা.)। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বিদায় নেবে পবিত্র এই মাস।
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের এই মাসে নেক আমলের অভ্যাস, সংযম, চরিত্র গঠনের শিক্ষা এবং দান-সদকার মধ্যে দিয়ে দু:খ-আনন্দ ভাগাভাগি করে নেবার এই শিক্ষা সারাবছর পালন করলে সার্বিক জীবন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসতে বাধ্য বলে পবিত্র হাদিস ও কোরআনে উল্লেখ আছে।
শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিগুলোতে জাহান্নাম থেকে ক্ষমার সুযোগ করে দেয়া লায়লাতুল কদরের তালাশ আর ইতেকাফের একাগ্র ইবাদত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য যেমন আনন্দের তেমনি রহমতের মাস চলে যাবার কষ্টেরও।
এই রমজানে মাসে দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কর্মধারা থেকে শুরু করে ইবাদতের যে বিশেষ আয়োজন তা আসলে এক মহা প্রশিক্ষণ হিসেবে গণ্য করা হয়। তারপরেও এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি, ভোগের প্রতিযোগিতা এবং আগাম ঈদ প্রস্তুতির কারণে পবিত্র এই মাসের মাহাত্ব্য নষ্ট করে থাকে। এই বিষয়গুলো ভবিষ্যতে সবার বিশেষভাবে লক্ষ করা উচিত বলে আমাদের মনে হয়েছে।
আগামী রমজান পর্যন্ত এই রমজানের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে জীবন গঠনের এই চর্চা শেষ হয় শাওয়ালের চাঁদ দেখার মধ্য দিয়ে। এই চাঁদ’ই ঈদুল ফিতরের চাঁদ হিসেবে পরিচিত। সারামাসের ইবাদত-বন্দেগীর পরে আনন্দময় ঈদ ধর্মপ্রাণ মানুষদের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে উপহার স্বরুপ। উপহার প্রাপ্তির আনন্দের মুহূর্ত দান-সদকার মাধ্যমে অভাবী মানুষ ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করার মাধ্যমে আরও আনন্দময় হোক, নিরাপদ হোক ঈদযাত্রাসহ সামনের দিনগুলো এই আমাদের প্রত্যাশা।