ছাদে বাগান শুধু সৌখিনতা নয় থাকতে হয় কৃষির প্রতি গভীর মমত্ববোধ। এই মমতাই ফল, ফুল, সবজি বা ঔষধি যাই বলি, সব গাছকেই দিতে পারে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার নিশ্চয়তা। ২ হাজার ২’শ বর্গফুটের এই ছাদটি চট্টগ্রামের ছাদকৃষি উদ্যোক্তা শামসুল আলমের। আয়তনে খুব বড় না হলেও সঠিক পরিকল্পনার কারণে কৃষির এই আয়োজনটি বেশ সমৃদ্ধ।
সারাটি বছর এখানে আকর্ষণ সৃষ্টি করে থাকে বড় বাহারি ডালিয়া ফুল। এর বাইরে মৌসুমী ফল ও সবজির সমারোহ তো রয়েছেই। বাগানের তরতাজা মরিচ, থোকা থোকা টমেটো ছাড়াও আকৃষ্ট হতে হয় সবুজের অপরূপ হাতছানিতে।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ হিলভিউ’র ছাদকৃষি উদ্যোক্তা শামসুল আলম বলেন, নিজের বাগান থেকে তরতাজা সবজি খাচ্ছি মনে হচ্ছে, মনের তৃপ্তি মিশিয়ে পরিবারের সবাই খায়। তাই বলি যাদের সার্মথ্য আছে তারা অবশ্যই ছাদ কৃষি করতে পারে। যে করবে তারই সুবিধা বেশি। ফরমালিন মুক্ত সবজি, ফলমূল পরিবারের সবাইকে খাওয়াতে পারবে। কারণ বাজার থেকে যা আনছি সেবতো ফরমালিনে ভরা।
শামসুল আলম একদিকে প্রকৃতিপ্রেমী, অন্যদিকে কৃষি অনুরাগীও। পারিবারিক উপযোগিতা, সৌন্দর্য্য আর প্রয়োজনকে মাথায় রেখেই তিনি ছাদের গাছ নির্বাচন করেছেন। রোপন থেকে শুরু করে ছাদকৃষির প্রতিটি বিষয়েই তার রয়েছে সরাসরি তত্বাবধান। বলা যায়, এটি তার কৃষিচর্চার এক দারুণ ক্ষেত্র।
শামসুল আলম বলেন, সকাল বেলায় পরিচর্যা শুরু করি। অফিসে গেলে ছেলেকে বলে যাই দেখাশুনা করতে।আবার অফিস থেকেই ফিরে এখানে চলে আসি।
পরিবারের সবার মধ্যেই কৃষির প্রতি অনুরাগ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন শামসুল আলম। নাতি সামি অনেক সময় নানার সঙ্গে ছাদে এসে মজার সময় কাটায়। সেও ইতোমধ্যে এই ছাদকৃষি থেকে অনেক কিছু শিখেছে।
শামসুল আলমের নাতি সামি বলেন, খুব আনন্দ লাগে একেক ধরণের ফুল-সবজি কিভাবে রোপন করতে হয় কিভাবে সংরক্ষণ করতে তা দেখতে।
টাকা দিয়ে জীবনের সব চাহিদা পুরণ করা সম্ভব হলেও ছাদ-কৃষির এই আয়োজন যেন ভিন্ন কিছুর যোগান দেয়। এ পর্যন্ত যারা ছাদে ফল ফুল সবজির এমন সমারোহ গড়েছেন তাদের সবারই উদ্দেশ্য একই রকম বলেও মনে করেন ছাদকৃষি উদ্যোক্তা শামসুল আলম।