দুজনের পঞ্চশতম টেস্ট। দুজনেই পঞ্চাশ পার করলেন। উঁকি দিচ্ছিল শতকের সম্ভাবনা। দুজনের কেউই সেটা পারলেন না। তামিম ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৭১ রানে, সাকিব ৮৪ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ৫০তম টেস্ট খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক করার কীর্তি গড়েন সাকিব। এরপর তাকে অনুসরণ করেন তামিম।
এর আগে দেশের হয়ে ৫০তম ম্যাচে হাবিবুল বাশার করেছিলেন ১১ ও ২। মোহাম্মদ আশরাফুল ১২ ও ৩। মুশফিকুর রহিম ৪ ও ৯।
মিরপুরে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। চার ওভারের ভেতরই তিন উইকেট নাই হয়ে যায়। সেখান থেকে হাল ধরেন তামিম-সাকিব।
সকালের সৌম্যকে মনে হয়েছে উইকেটের বাউন্স দেখে ভড়কে যাচ্ছেন। অভিজ্ঞ তামিম নিজেকে সামলে নেন। কিন্তু পারেননি সৌম্য (৮)। প্রথম ওভারের শেষ বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এরপর ইমরুল। বাউন্সের সামনে তাকেও খাবি খেতে দেখা যায়। কামিন্স এবার
অফস্টাম্পের বাইরে স্লো ডেলিভারি দেন। বল শেষ মুহূর্তে খানিকটা নিচু হয়ে যায়। ইমরুল তালগোল পাকিয়ে ব্যাট দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। ঠিক পরের বলে ওয়াইড ইয়র্কারে ওই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন সাব্বির রহমান (০)। চার ওভারের ভেতর ছিল না তিন উইকেট! সেখান থেকে হাল ধরেন তামিম-সাকিব।
মুশফিকুর রহিম এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এই টেস্ট দিয়ে ২ বছর পর একাদশে ফিরেছেন নাসির হোসেন। মোসাদ্দেক হোসেনের অসুস্থতায় স্কোয়াডে ফেরা মুমিনুল হক একাদশে ঢুকতে পারেননি। তার সঙ্গে বাইরে থাকছেন তাসকিন আহমেদ ও লিটন কুমার দাস।
পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী শফিউল ইসলাম। স্পিনে সাকিব আলহাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গী তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিউল ইসলাম।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশ, উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড, অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজেলউড।