পঞ্চাশ পেরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙার পর আরও একটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নাঈম শেখের পর সাজঘরে ফিরে গেছেন তাওহিদ হৃদয়। মিডলঅর্ডারের অন্যতম ভরসা হৃদয় তিনে নেমে ফেরেন শূন্য রানে।
দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৬০ রানে মুজিব উর রহমানের স্পিনে বোল্ড হন নাঈম। ৩২ বলে ৫টি চারে করেন ২৮ রান। পরের ওভারে গুলবাদিন নাঈবের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন হৃদয় (০)।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেটে যে দলই টস জিতবে, বেছে নিতে চাইবে ব্যাটিং। সাকিব আল হাসান অনুমেয়ভাবে সেটিই করেছেন। বাংলাদেশ দলও পায় দুর্দান্ত সূচনা। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ফিফটি পূর্ণ করে টিম টাইগার্স।
রদবদলের ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা প্রথম তিন ওভারে তুলে নেন ৩০ রান। নতুন জুটির রসায়নটা খারাপ হয়নি। একপ্রান্ত ধরে রাখেন মিরাজ। অন্যপ্রান্তে কিছুটা আগ্রাসী ছিলেন নাঈম।
হারলে এশিয়া কাপ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। জিতলে থাকবে সুপার ফোরের সুযোগ। এমন সমীকরণের ম্যাচে তিন পরিবর্তন টাইগার একাদশে। ১৭ টি টি-টুয়েন্টি খেলার পর ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন পাটোয়ারীর।
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ম্যাচে অভিষিক্ত বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন, এই ম্যাচে বাদ পড়েছেন। একাদশে মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় ঢুকেছেন পেসার হাসান মাহমুদ। শেখ মেহেদীর পরিবর্তে খেলছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
২০০৮ সালে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল লাল-সবুজের দল। মুশফিকুর রহিম সেই দলের একমাত্র খেলোয়াড় যিনি আজ মাঠে নেমেছেন।।