দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার পঞ্চম দিনে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৪০ জন টিকা নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ১৫২ জন ও নারী ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন ভ্যাকসিন নেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৪ হাজার ৪৫৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৪২৪ জন ও নারী আট হাজার ২৯ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫১ হাজার ১৫৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৩৪ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ১৬ হাজার ৭১৩ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৩৩৭ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪৩১ ও নারী দুই হাজার ৯০৬ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৮৬৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ৩৬ হাজার ৮৬৮ জন ও নারী সাত হাজার ৪৪৪ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে ২৩ হাজার ১৮০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন ও নারী সাত হাজার ৪৪৪ জন।
রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৫৬৮ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৮১২ জন।খুলনা বিভাগে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৩৮৪ ও নারী সাত হাজার ৯৫ জন।
বরিশাল বিভাগে নয় হাজার ৩৯৭ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৪৬৩ জন ও নারী দুই হাজার ৯৩৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৫ হাজার ৭৩৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ২৫৬ জন ও নারী পাঁচ হাজার ৪৮৩।
এ পর্যন্ত মোট টিকা গ্রহিতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭৮ এবং নারী ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সে সময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত রোববার গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।