আগের রাতে দুই গোলে পিছিয়েও ২-২ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রুগের মতো অপেক্ষাকৃত ‘ছোট’ দলের কাছে হারতে হারতে ড্র করে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে প্রথম ম্যাচে পিএসজির কাছে ০-৩ ব্যবধানে হেরেছিল রিয়াল। লা লিগায় শীর্ষে পৌঁছালেও ইউরোপ সেরার মঞ্চে এখনো সাদামাটা হ্যাজার্ড-বেনজেমারা।
‘চিরশত্রু’দের দুঃস্বপ্নের পরেরদিন মাঠে নামছে বার্সেলোনা। বুধবারের ম্যাচে ব্যক্তিগত দক্ষতায় বার্সেলোনা নিঃসন্দেহে এগিয়ে ইন্টার মিলানের থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে কিছুটা আতঙ্ক নিয়েই ন্যু ক্যাম্পে আসছেন অ্যান্থনিও কন্তে।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বার্সেলোনা হারেনি সাড়ে ছ’বছর। ম্যাচের হিসাবে ৩২ ম্যাচ। মাঝের এই সময়ে মাত্র তিনবার তিনটি দল ড্র করেছে ন্যু ক্যাম্পে। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (২০১৩-১৪), জুভেন্টাস (২০১৬-১৭) এবং টটেনহ্যাম (২০১৮-১৯)। তাই কন্তের সামনেও চ্যালেঞ্জ বেশ কঠিন।
তবে এই মুহূর্তে সিরি আ’র শীর্ষে থাকা ইন্টারের খেলায় গতি দারুণ। গোল করার জন্য মুখিয়ে রোমেলু লুকাকু-অ্যালেক্সিস সানচেজের মতো তারকারা। বার্সেলোনার মন্থর ডিফেন্সে চাপ তৈরি করতে পারেন তারাই।
লিওনেল মেসি হয়তো চোট সারিয়ে এই ম্যাচে খেলবেন। তার সঙ্গে ফিরতে পারেন উসমান ডেম্বেলেও। ২০ জনের স্কোয়াডে দুজনেরই নাম রেখেছেন কোচ ভালভার্দে।
কিন্তু এর আগে বড় চোটের জন্য ভালো করে প্রি-সিজন হয়নি মেসির। ফলে ভয়ঙ্কর মেজাজে দেখা যায়নি। নতুন আসা তারকা অ্যান্থনিও গ্রিজম্যান রিয়ালের হ্যাজার্ডের মতো এখনো সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তাই লুইস সুয়ারেজের উপর অনেকটা ভরসা রাখতে হবে ভালভার্দেকে।
বার্সা-ইন্টার ম্যাচে এর আগেও একবার বড় ভূমিকা ছিল সুয়ারেজের। তবে তিনি এই সুয়ারেজ নন, স্পেনের একমাত্র ব্যালন ডি’অর জয়ী সুয়ারেজ। যিনি ১৯৭০ সালে ইন্টারের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন বার্সেলোনায়। সেই শেষবার ইন্টার ন্যু ক্যাম্পে হারিয়েছিল বার্সেলোনাকে। কন্তে কি ফেরাতে পারবেন সেই দিন? নিশ্চিত নন কোনো বিশেষজ্ঞ। তবে ভালভার্দের দলের দুর্বলতাগুলো কাজে লাগাতে পারলে অসম্ভবও নয়।
বুধবার লিভারপুল খেলবে অস্ট্রিয়ার ক্লাব সাল্জবুর্গের বিরুদ্ধে। ইয়ূর্গেন ক্লপের দল প্রিমিয়ার লিগে যেরকম দাপটে জিতছে, তাতে এই ম্যাচেও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
ফ্রান্সের লিলের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে খেলবে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চেলসি। লিভারপুলের ঠিক উল্টো বিন্দুতে ল্যাম্পার্ডের দল। প্রিমিয়ার লিগে সাত নম্বরে থাকা দলের সামনে এখন কোনো ম্যাচই তাই সহজ নয়। চোট সারিয়ে কান্তে ফিরতে পারেন এই ম্যাচে।