চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নৌকা অর্জন ও মুক্তির প্রতীক: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক। জাতীয় পার্টি জেপি’র চেয়ারম্যান। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ২০১৩ সালে ২৪ নভেম্বর মন্ত্রী পদ মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন প্রদান করেন এবং সে সময় বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একজন নামকরা রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাক এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার মাতার নাম মাজেদা বেগম।

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ভূগোল বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে ১৯৮০-৮১ সাল পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে ১৯৬৬-৬৭ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৭-৬৮ সালে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮০ সালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হন। ১৯৯৫-৯৮ সালে তিনি জাতীয় পার্টির (এ) মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৬৯ সালে পিতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার আকস্মিক মৃত্যুর পর আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দৈনিক ইত্তেফাকে সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৭২ সাল থেকে এই পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৯৬-২০০১ সময়কালে আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন প্রদান করেন এবং সেসময় বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। এর আগে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রথমে বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পরে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ১৯৮৬, ৮৮, ৯১ এবং ২০০১ সালে পিরোজপুর-২ ভাণ্ডারিয়া কাউখালি আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পিরোজপুর-২ ছাড়াও ঝালকাঠি-১ রাজাপুর কাঁঠালিয়া আসনে সংসদ সদস্য হন। পরে ঝালকাঠি ১ আসন ছেড়ে দেন এবং উপ নির্বাচনে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হন তার স্ত্রী তাসমিমা হোসেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বরিশালের বেগম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মহিলা কলেজ, ভাণ্ডারিয়ায় মাজেদা বেগম মহিলা কলেজ এবং মানিক মিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি তিনি আসন্ন নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

প্রশ্নঃ আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পাটি (জেপি) দুটি আসন পেয়েছে। আপনি সন্তুষ্ট?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আরও কম পেলাম না কেন- সেটাই ভাবছি? তার কারণ হলো দুটি দেক, একটি দিক আর চৌদ্দটি দিক- এর বাইরে যদি অন্য কোন আসনে আমরা মনে করি আমাদের প্রার্থী দাঁড়াবে সেখানেও আমরা আমাদের দলের মনোনয়ন দিতে পারি আমাদের মার্কাতে। তবে ভদ্রতা শালীনতার জন্যে নৌকা যেখানে আছে সেখানে আমরা দেব না।

প্রশ্নঃ তার মানে আপনি নৌকা নিয়ে নির্বাচন করছেন? আপনাদের দলীয় প্রতীক কোনটি?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আমরা হলাম ১৪ দলের জোট। এখানে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হলো- আমরা এই ১৪ টি দল তারা নৌকা মার্কা নিয়ে করতে পারবে অন্য মার্কা নিয়েও করতে পারবে, যেহেতু আমার দলকে তারা দুটো দিয়েছে তাই আমি আমার সাইকেল মার্কা নিয়ে নির্বাচন করবো। কারণ আমি ৩ বা ৪ টি ইলেকশন আমার মার্কা নিয়েই করেছি তবে আমার অন্য প্রার্থী সে নৌকা নিয়ে করবে।

প্রশ্নঃ সামগ্রিকভাবে যে আসন বিন্যাস হলো তা কেমন হলো?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: যেদিন ১৪ দলের নেতাদের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আলাপ হয় সেদিন আমি বলেছিলাম, এখানে আমি দরকষাকষি করতে আসিনি। কেননা জোট মহাজোট আমরা করেছি কেন? এটি একটি আদর্শিক জোট। আমাদেরকে জেতার মত প্রার্থী দিতে হবে। আমাকে ১৫ বা ২০ টা দেন আমরা বলতে পারি। কিন্তু জিততে তো হবে? আমাদেরকে জেতার মত প্রার্থী দিতে হবে। যদিও আমার এই বক্তব্য আমাদের শরীক অন্য দলের নেতারা পছন্দ করেন নাই। তারা আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছিল বেরিয়ে আসার পরে, শুধু আওয়ামী লীগই কি জিতবে? আমি কোন উত্তর দেইনি। আগেই বলেছি- এটি দরকষাকষির কোনো জায়গা না। আমরা মহাজোট করেছি জেতার জন্যে। সেখানে প্লাস মাইনাস থাকবে। মানুষ তো? তবে যুক্তিসঙ্গত ন্যায়সঙ্গত এবং যারা বাজারে চলাফেরা করে তারা জানে, অবশ্যই মহাজোট নির্বাচনে জয় লাভ করবে। এর মানে এই নয়, অন্য যারা অংশ নেবেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, এ কথা আমি বলছি না। আনন্দের বিষয় হলো- এতো দল এর আগে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল কিনা তা গবেষণার বিষয়।

প্রশ্নঃ তাহলে তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে যে শঙ্কা তাতো আর নেই?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: হ্যাঁ। সে শঙ্কা নেই। অনেক বেশি দল অংশ নিচ্ছে এই নির্বাচনে।

প্রশ্নঃ অন্য আরও দল আছে। তারা কি সন্তুষ্ট?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: তা তো আমি বলতে পারবো না। আমি সন্তুষ্ট এইটুকু বলতে পারি। এই ক্লজে সন্তুষ্ট এই দুইটার মধ্যে থাকবো- এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাই সেখানে জোটের প্রার্থী থাকবে এটি মোটামুটিভাবে আমি জানি।

প্রশ্নঃ যুক্তফ্রন্ট বি চৌধুরীর এটি আপনাদের সাথে এসেছে। ৩ টি আসনও পেয়েছে তারা- এটিকে কিভাবে দেখছেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: এটি হয়েছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত। এই বিরাট নেগোসিয়েশনের ব্যাপারে কেউ যদি বলে তিনি সব জানেন তাহলে তিনি হবেন অতিমাত্রায় অতি জ্ঞানী। এমনও শুনেছিলাম বি চৌধুরী সাহেব তার ছেলের জন্যে একটি মাত্র আসন চেয়েছিলেন। কি কারণে, কি বিষয়ে এই নেগোসিয়েশন হয়েছে তা আমি জানি না। কারণ তা তো আমার সাথে হয় নাই। হয়তো প্রধানমন্ত্রী মনে করেছেন তিনি এই দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাকে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর চেয়ে একটু বেশি সম্মান দেওয়া উচিৎ সেই জন্যে আমাকে দুইটা দিলেন আর তাকে তিনটি দিলেন। এই কারণে হতে পারে। অন্য কোন কিছু আমি জানি না। কারণ এই ব্যাপারে আমি জড়িত ছিলাম না। একবারই বৈঠক হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেখানে বলেছিলাম, দরকষাকষির জন্যে আমি এখানে আসিনি।

প্রশ্নঃ জোটের রাজনীতি কতোটা প্রভাব ফেলে ভোটের নির্বাচনে?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকে বলে আসছেন, এটি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির জোট। এর মানে এই নয় যে, অন্য জোট সবাই স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। আমরা বলেছি আমারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।

প্রশ্নঃ আমাদের সংবিধান প্রণেতা এবং বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী ড. কামাল হোসেন যে জোটে আছেন সেখানে স্বাধীনতার বিরোধীরা আছেন- এটিকে কিভাবে দেখেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্রমনা মানুষ। তিনি বলেন, জনগণ হলেন রাজা। তাদেরকে আবার আমি রাজার আসনে ফিরিয়ে আনতে চাই। কিন্তু তার জোটে অন্য যারা আছেন তারা কিন্তু এইভাবে কথাগুলো বলেন না। তার এই বক্তব্য দেশের সাধারণ মানুষ কতোটা স্পষ্ট বুঝবেন তা আমি জানি না। আমি নিজেও স্পষ্ট বুঝি না। তিনি দাবি করছেন তিনি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছেন। কিন্তু তিনি নিজে একটা জোট করেছেন ঐক্যজোট। এই ঐক্যজোটের সাথে আরেকটি জোট আছে। তাদের মধ্যে আবার আরেকটি জোট আছে। সুখের বিষয় হলো- পৃথিবী স্বস্তিবোধ করবে বাংলাদেশে সকল দলের অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন হচ্ছে। এটি আমাদের অর্জনের বিষয় এবং কেউ নির্বাচন বয়কটের কথা বলছে না, বরং বলছেন- শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যাব। আরেকটা জোট বলছে পরিবেশ সমতলভূমি ইত্যাদি ইত্যাদ। কিন্তু এইগুলো ড. কামাল হোসেন অ্যাভয়েড করে যাচ্ছে।

প্রশ্নঃ উনি কি ব্যবহার হচ্ছেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আমি মনে করি- উনাকে ব্যবহার করার মত লোক কেউ আছেন। উনার কথাকে থামিয়ে দিয়ে পাশ থেকে কেউ প্রম্পট করে। ড. কামাল হোসেনকে আমরা অনেক বছর ধরে চিনি। তার সাথে বিপ্লবী বিদ্রোহী উগ্রপন্থী অনেকেই আছেন। তার মানে তিনি কি তাদের মতবাদে বিশ্বাস করেন? বৃহৎ কোন কিছু অর্জনের জন্যে তিনি কি এসব করছেন? আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে যারা দরকষাকষি করেন তাদেরকে তিনি যদি বলেন, আসুন আওয়ামী লীগের সাথে নির্বাচন করেন। আর যারা রাজি হবেন না তারা চলে যান। কিন্ত তিনি নেহায়েতই বঙ্গবন্ধুর কন্যা বলে এই কথা আমাদের মুখের উপরে বলেন না।

প্রশ্নঃ টানা ১০ বছর আপনাদের জোট ক্ষমতায়। আপনাদের সাথে এরশাদের জাতীয় পার্টিও আছে। ১০ বছর পরে জনগণ কেন আবারো আপনাদের ভোট দেবে?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আমি তো বলি নাই তারা আমাকে ভোট দেবে?

প্রশ্নঃ কিন্তু আপনিতো আশা করছেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: আমি ভোট চাইতে যাচ্ছি। ঢাকা ফিরে আসার আগে আমি বলেছিলাম, যদি কোন কারণে আমাকে ভোট না দেওয়া হয় তার একটি মাত্র কারণ ৩৪ বছর তারা আমার এই চেহারাটা দেখে আসছে। অনেকে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। একই চেহারা তারা ৩৪ বছর দেখছেন। আমি যখন এলাকায় যাই তখন আমার বয়স ছিল ৩৩ বছর। এই কথা বলতে পারি আমিও তো তোমাদেরকে ৩৪ বছর ধরে দেখছি। যাদেরকে আমি চকলেট লজেন্স খাইয়েছি তোমরা আজ তারা নেতা হয়ে গেছো। এটা স্বীকার করে নিতে আমার কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নাই বরং আমি খুশি তোমরা নেতা হয়ে এসেছো। তোমরা প্রভাবশালী হয়েছো- আমি খুশি। এই ৩৪ বছরে আমার এলাকায় আমি কোনোদিন রাজনীতির আলাপ করিনি। দেশ স্বাধীন হয়েছে। এর ফল মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্নঃ এই আত্নবিশ্বাস থেকেই কি আপনি নিজের প্রতীকে নির্বাচন করছেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু: এই মার্কা নিয়ে সেখানে আমি একাধিক ৩ বা ৪ বার নির্বাচন করেছি। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মানে আমার এলাকায় বাই সাইকেল। এমন কি লাঙ্গল নিয়ে সেখানে গেলেও তারা কনফিউজড হতো। আর নৌকার প্রতি তো বিদ্বেষ থাকতে পারে না। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে প্রতীক ছিলো নৌকা। নৌকা অর্জন ও মুক্তির প্রতীক।

প্রশ্নঃ রাজনীতিক হিসেবে শেখ হাসিনাকে মূল্যায়ন করতে বললে আপনি কি বলবেন?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুঃ আমি করব না। কারণ সেই ক্ষমতা আমার নেই। শেখ হাসিনা অত্যন্ত দূরদর্শিতা একজন প্রশাসক। আমি পত্রিকা ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ। এই পেশার মানুষগুলো সাধারণত সিনিক্যাল হয়। কোন কিছুর ভাল তারা দেখতে পায় না। খুঁত দেখবে ত্রুটি দেখবে এটিই সাংবাদিকতা হয়তো। সেখানে আমি অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকি। ১০ বছর তার সাথে আছি। হাউ সি হ্যাজ ডেভেলপড।

প্রশ্নঃ অ্যাজ এ পলিটিশিয়ান?

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুঃ অ্যাজ এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। তার সামনে কথা বলতে আমার মত সীমিত লোকের পক্ষে তো সম্ভব না। আমি কথা বলিও না। একান্ত যদি না আমার সাবজেক্ট না হয়। আর রাজনীতিবিদ হিসেবে এতোগুলো মহিষকে পানি খেতে দিতে পারলো? একেকজন একেক রকমের চরিত্রের সুবিধাবাদী অসুবিধাবাদী কতো ধরণের। খেয়াল করবেন ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে আওয়ামী লীগ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী কোন কটুক্তি করেন না। অন্য সবার সম্পর্কে মন্তব্য করলেও তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন না।