চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে পুরুষের পরিবর্তে নারীর লাশ

নোয়াখালী শহরের কলেজপাড়ার পাটোয়ারী বাড়ির মো. ইসমাইল। গেল ২৩ ডিসেম্বর মারা যান সৌদি আরবের রিয়াদ শহরে। মৃত্যুর ১৩ দিন পর ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তার লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে রাতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। শনিবার সকালে লাশ দাফনের আগে কফিন খুলে দেখা যায় ভেতরে এক নারীর লাশ। এতে উপস্থিত সবাই হতভম্ভ হয়ে পড়েন। এরপর তাৎক্ষণিক ওই লাশ ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

স্বজনরা জানায়, শুক্রবার বিকেল চারটায় ইসমাইল এর লাশ বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দর থেকে তার ভাতিজা মো. ইউছুফ লাশের কফিন বুঝে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজে স্বাক্ষর করার পর দেখেন তাতে লাভলী বেগম নামে এক নারীর নাম লেখা। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু তার আপত্তিতে কর্ণপাত না করে কর্তৃপক্ষ কফিনের ভেতরের লাশ ইসমাইলের বলে জানালে তিনি লাশ নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত দুইটায় তারা লাশ নিয়ে বাড়ি পৌঁছান।

শনিবার সকাল দশটায় লাশ দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী মাইকিং করা হয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের সময়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে তাদের দাফনের এক ঘন্টা আগে কফিন খুলতে বলা হয়। সে অনুযায়ী সকাল নয়টায় তারা কফিন খুলে দেখেন ভেতরে এক নারীর লাশ। সঙ্গে থাকা কাগজে তার নাম লাভলী বেগম, বাড়ি গোপালগঞ্জ লেখা। নারীর লাশ দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। তাৎক্ষণিক তারা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে যোগাযোগ করলে তাদের লাশ সেখানে নিয়ে যেতে বলা হয়।

এদিকে বিমানবন্দরে লাশ হস্তান্তরের সময় কাগজপত্র ভালোভাবে না দেখে এবং লাশের স্বজনদের কথা না শুনে এভাবে একজনের লাশ অন্যজনকে বুঝিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উপস্থিত জানাজার মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার জন্যই এই সমস্যা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বজনরা।