নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণ মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হাসান আলী ভুলুসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রামের ডাবলমুরিং থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চরজব্বার থানা পুলিশ মূল পরিকল্পনাকারী ভুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো: ইলিয়াছ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসপি মো: ইলিয়াছ শরীফ জানান, আটক ওই বুলুই ১০ হাজার টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটায় বলে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে।
এর আগে শুক্রবার ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রামের নাজিরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার আরেক আসামী জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জসিম সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের মোতাহের হোসেনের ছেলে।
ঘটনার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে জসিমের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে রাতেই চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে অভিযানে নামে চরজব্বার থানা পুলিশের একটি টিম।
এ নিয়ে এই মামলায় মোট সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। চারজন ইটভাটা শ্রমিক একজন ইটভাটার মাঝি।
মামলার অপর আসামীদেরকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এসপি। এই মামলায় দ্রুত চার্জশীট দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে দেখতে মানবাধিকার সংস্থা ‘সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের’ প্রতিনিধি দল ও বাম জোটের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে আসেন ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের সোহেল, হানিফ, স্বপন, চৌধুরী, বেচু, বাসু, আবুল, মোশারেফ ও ছালাউদ্দিন ৪০ বছর বয়সী এক নারীর বসত ঘর ভাঙচুর করে।
এক পর্যায়ে তারা ওই নারীর স্বামী ও মেয়েকে বেঁধে রেখে তাকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে।
পরদিন ওই নারী ও তার স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৯ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।