নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হোসেন (২৫) মারা গেছেন।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ছাত্রলীগ ও পুলিশের বরাতে জানা যায়, রোববার রাতে উল্যাহপুর বাজারে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীরা। সেই ঘটনায় আহত হন ছাত্রলীগের অন্তত ৬ জন নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালী থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় রাকিবকে।
নিহত রাকিব হোসেন আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হাবিবসহ অন্য ৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন, মো. হাবিব, রায়হান, মো. রনি ও মনু।
পুলিশ বলছে, গত কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও পূর্ব বিরোধের জেরে স্থানীয় ছাত্রলীগের সঙ্গে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমান উল্যাহপুর বাজারে আড্ডা দিচ্ছিল কয়েকজন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ সময় জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা বাজারে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত রাকিব ও হাবিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল রাতেই তাদের ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। রাকিবের কিডনি, লিভার ও পাকস্থলিতে গুলি লাগে।’
‘‘জামায়াত ও শিবির নেতা পিয়াস ও নাছিরের নেতৃত্বে রাকিব, হাবিবসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে জখম করে।’’
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমান উল্যাহপুরের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত রাকিব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ হামলার ঘটনা কাদের ইন্ধনে হয়েছে এবং কারা কারা জড়িত খুঁজে বের করা হবে।’
তিনি জানান, ঘটনায় জড়িত ৪ জন জামায়ত-শিবিরের কর্মীকে আটক করা হয়েছে। নিহত রাকিবের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে এই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে জামায়াত ও শিবির নেতারা।