নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অটো রিকশা চালকসহ দুইজনকে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের জমিন মাঝি বাড়ির মকবুল আহাম্মদের ছেলে অটোরিকশা চালক মো.রুবেল ও চরফকিরা ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হক মাস্টার বাড়ির মজিবুল হকের ছেলে মমিনুল হক ফারুক।
শুক্রবার (৪মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে অটোরিকশা চালক মো.রুবেল পলাতক ছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পার্শ্ববতী সুবর্ণচর উপজেলার চররশিদ গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামির শ্বশুর বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘটনার রাতে তরুণী রুবেলের অটোরিকশায় উঠলে সে সোজা পথে না যেয়ে কবরস্থানের পার্শ্বে জমির আইল সদৃশ্য রাস্তা দিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যেতে থাকে। তখন ভুক্তভোগী তরুণী রিকশা থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলে রুবেল পিছন থেকে আক্রমণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে দম বন্ধ হয়ে ভুক্তভোগী মৃত্যুবরণ করে বলে জানায় সে।
এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১ মার্চ লিখিত এজহার দাখিল করলে পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন।
উল্লেখ্য এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধানের জমি থেকে ভুক্তভোগীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।