বিশ্ব জুড়ে দারিদ্র দূরীকরণ নিয়ে পরীক্ষামূলক কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী হিসেবে ষোষিত হয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নাম।
সারা বিশ্ব থেকে যখন সংবর্ধনা পাচ্ছিলেন এই অর্থনীতিবিদ, এত শুভেচ্ছার মধ্য এই সুসংবাদটি মাকে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে নির্মলা বলেন, ‘পুরস্কার ঘোষণা হওয়ার পর থেকে আমি ছেলের সঙ্গে কথা বলিনি, তবে গতকাল রাতে কথা বলেছিলাম। তখন সে আমাকে জানায়নি। এর জবাব তাকে দিতে হবে ‘।
সোমবার তিনি বলেন, তাত্ত্বিক দিক থেকে অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় তার ছেলে, এবং দারিদ্রতার বিরুদ্ধে মানুষ কীভাবে লড়াই করবে তা বুঝতে চায়, কোন নীতি তৈরি করে এই সমস্যা দূর করা যাবে তা খুঁজে পেতে চায় সে।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, একটা সময়ে, আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতাম। বর্তমানে আমাদের দেশের অর্থনীতি নিয়েও সে কথা বলত।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের মা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফ্রিকায় কাজ করেছে ওরা (ছেলে, এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রিমার এবং অন্যান্য পুরস্কার জয়ীরা) ইন্দেনেশিয়াতে কাজ করেছেন এস্থার। দারিদ্রতার দিকে তাদের লক্ষ্য রয়েছে এবং স্থানীয় অর্থনীতি কীভাবে তার সেই সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করছে, তা খুবই মজাদার।
২০১৯ সালে অর্থনীতিতে যৌথভাবে তিনজন নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এদের মধ্যে বাঙালি অভিজিৎ ব্যানার্জি ও আস্থার ডাফলো সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী।
অভিজিৎ ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক, আস্থার ডাফলো ফ্রেন্স-আমেরিকান ও মাইকেল ক্রেমার আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।