জয়পুরহাটে নোট বইয়ের সাহায্য নিতে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করছেন শিক্ষক। এমনকি পাঠদানের ক্ষেত্রে নোটবই ও গাইডের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। ভাল রেজাল্টের আশায় অভিভাবকরাও নোট বই কিনে দিচ্ছেন সন্তানদের।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই সৃজনশীল পদ্ধতিতে পাঠদানের নির্দেশনা থাকলেও তা পুরোপুরি অনুসরণ করা হচ্ছে না। নতুন এ পদ্ধতির প্রশ্নের উত্তর শিক্ষকদের পাঠ্য বই থেকেই তৈরি করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে শিক্ষার্থীদের নোট বই কিনতে উৎসাহিত করছেন শিক্ষক।
কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অধিকাংশ প্রশ্ন গাইড বইতে আছে। তাই আমাদের গাইড বই পড়তে হচ্ছে। বইয়ে এগুলো থাকেও না অনেক সময়।
শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে অভিভাবকরাও সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন এসব নোটবই। অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষকরা যেভাবে স্কুলে পড়াচ্ছে সেগুলো বাসায় গিয়ে বাচ্চাদের বই থেকে খুঁজে পাচ্ছি না আমরা। এই জন্য নোট-গাইডের প্রয়োজন হচ্ছে।
শিক্ষকদের দাবি পাঠ্য বইয়ে সব ধরনের উত্তর না থাকায় নোট বইয়ের সাহায্য নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। একজন শিক্ষক বলেন, বাচ্চাদের বইগুলো থেকে যেহেতু আমরা সম্পূর্ণ উত্তরটা পাইনা সেজন্য আমাদের সুবিধার জন্যই আমরা নোট-গাইড ব্যবহার করে থাকি।
এদিকে নোট-বই ও গাইডকে অনুশীলনমুলক বই হিসেবে নাম দিয়েছেন পুস্তক ব্যবসায়ীরা। বই বিক্রেতাদের দাবি, এগুলোকে নোট না বলে অনুশীলনমূলক বই বলাই ভালো হবে।
পাঠ্যবইগুলোকে শিক্ষার্থীদের কাছে আরো সহজ ও বোধগম্য করে তোলার পরামর্শ গবেষকদের।
জয়পুরহাটের প্রধান শিক্ষক ও গবেষক মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের আরও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। শিক্ষাদানের কারিকুলাম আরও ছাত্র উপযোগী করতে হবে। পাশাপাশি নোট প্রকাশনীগুলোকেও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
এদিকে নোটবই ও গাইড বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।