মাঠ ও মাঠের বাইরে নেতৃত্বকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মাশরাফী শেষে ৫০তম ওয়ানডে জয় দিয়ে টেনে দিলেন নিজের অধিনায়কত্বের সমাপ্তি রেখা। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৩ রানে জয়ের পর যখন শেষবার সংবাদ সম্মেলনে এলেন, তখন তার অধিনায়কত্বের সাফল্যের রহস্য জানতে চাওয়াটা স্বাভাবিকই, প্রশ্নটা এলোও। জবাবে ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক’ যা বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের অধিনায়কদের জন্য তা হয়ে থাকল পাথেয়!
নিজে ছিলেন অসাধারণ অধিনায়ক। তাই মাশরাফীর দিকে প্রশ্ন এলো একজন নেতা হতে কী কী গুণাবলি থাকা জরুরি। মাশরাফী এখানেও দিলেন ক্যারিশমার পরিচয়। উত্তরসূরিদের জানিয়ে রাখলেন যোগ্যতা থাকলে অধিনায়কত্বই পেছনে ছুটবে, নেতৃত্বের পেছনে ছোটার কোনো প্রয়োজন নেই।
‘নেতৃত্বগুণ থাকা ভালো, তবে ক্যাপ্টেন হতে চাওয়া কিংবা ক্যাপ্টেন্সি করতে চাওয়াটা আমার মনে হয় ভালো না। বাংলাদেশে অনেককেই আগে দেখেছি যারা করতে চাইতো, তারা ক্যারিয়ার আর বড় করতে পারেনি। তাই আমার মনে হয় না ক্যাপ্টেন্সি চাওয়ার প্রয়োজন আছে। লিটনদেরকেও এখন নেতৃত্ব দিতে হবে। নেতৃত্ব এক জিনিস আর ক্যাপ্টেন্সি আলাদা জিনিস।’
‘আর ক্যাপ্টেন্সি যে করবে তার অবশ্যই মাঠের বাইরে প্রচুর কাজ।’
সেই কাজগুলি কী কী তারও বিশেষ কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন নড়াইল এক্সপ্রেস, ‘একজন খেলোয়াড় প্রচুর বিরক্তির শিকার হয়। পারিবারিক দিক থেকে হয়। যে জিনিসটা পছন্দ করে না সেটা বারবার সামনে চলে আসে।’
‘ব্যক্তিগত সমস্যা থাকতে পারে। ফর্মহীনতা থাকতে পারে। কোচের সঙ্গে সমন্বয়ে সমস্যা থাকতে পারে। ফিটনেসে সমস্যা হতে পারে। একেকজন একেক সমস্যা নিয়ে লড়াই করে। এসময় একজন অধিনায়কের কাজ হচ্ছে তার পাশে থাকা। একইসময় দলের দায়িত্ব নেয়া, দল যতই ভালো কিংবা খারাপ খেলুক, নিশ্চিত করতে হবে অধিনায়ক তা নিজের কাঁধে নিচ্ছে।’