ঢাকা ডায়নামাইটস তাকে ডেকেছিল নেট বোলার হিসেবে। বোলিং দেখে ভালো লেগে গেল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের। দলের অন্যদের মাঝেও আগ্রহ তৈরি হল, ম্যাচে নামিয়ে দিলে মন্দ হয় না! ২২ বছর বয়সী সেই তরুণই করে বসলেন হ্যাটট্রিক। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকার জয়ের নায়ক হয়ে আলিস আল ইসলাম এলেন সংবাদ সম্মেলনে।
উপস্থিত সংবাদকর্মীদের কাছেও অচেনা মুখ। পুরো নামটাও জানা নেই কারও। ক্রিকইনফোতে পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল তৈরি না হওয়ায় ক্রিকেট ব্যাকগ্রাউন্ডও জানা যাচ্ছিল না। পুরো নাম, বিপিএলে কীভাবে আসা, ক্রিকেট কীভাবে শুরু- এসব প্রশ্নের উত্তরও তাই দিতেই হল বিস্ময় জাগানো অফস্পিনারকে।
আরও পড়ুন-
জিরো থেকে হিরো ‘হ্যাটট্রিকম্যান’ এলিস ইসলাম
রোমাঞ্চের পারদচড়া ম্যাচে মাশরাফীদের হারালেন সাকিবরা
‘আমার নাম আলিস আল ইসলাম। আমি ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার ছিলাম। আগে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলেছি। নেট বোলিং করার সময় সুজন (ঢাকার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন) স্যার আমাকে দেখেন। দেখে ওনার বিশ্বাস হয় যে আমি ভালো করতে পারব, তারপর আমাকে টিমে নেয়। তারপর টিম ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড়রা আমাকে সাপোর্ট করে। তারপর সেরা একাদশে ঢুকি।’
বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক করেছেন তরুণ এক ক্রিকেটার, সে খবর রটে যেতে সময় লাগেনি। যারা স্টেডিয়াম এলাকায় এসে টিকিট না পেয়ে মাঠে ঢুকতে পারেননি, তাদের অনেকেই ঢাকা-রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ দেখেছেন মুদি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে টিভির পর্দায়। কেউ ম্যাচের ধারাভাষ্য শুনেছেন রেডিওতে কান পেতে। নবীন বোলারটির কীর্তির খবর তখন থেকেই রটছে সকলের মুখে মুখে।
সাভারের বলিয়াপুর থেকে উঠে আসা আলিস এই প্রথমবার খেললেন কোনো স্টেডিয়ামে। সেটিও ২৫ হাজার দর্শকের সামনে। বোলিংয়ে আসার আগেই দুটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে নার্ভাসনেসের কারণেই। তবে চাপ সামলে এই নবীনের হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেট শিকার বিস্ময়করই।
‘আসলে এটা আমার বিপিএলে প্রথম ম্যাচ। খোলাসা করে বলতে গেলে স্টেডিয়ামেই এটা আমার প্রথম ম্যাচ। আমি আসলে অনেক নার্ভাস ছিলাম। তবে ক্যাচ দুটি ড্রপ করার পর সতীর্থরা অনেক সাপোর্ট করেছে, কোচ সাপোর্ট করেছেন। সবাই আসলে অনেক সাহস দিয়েছেন। তাতে মনে হয়েছে ভালো জায়গায় বলটা করতে পারি যদি, তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। আমি শুধু ভালো জায়াগায় বল করতে চেয়েছি।’