ম্যাচের শেষ গোলটি না হওয়া অবধি হারের শঙ্কাই পেয়ে বসেছিল পিএসজিকে। দুবার এগিয়ে গিয়ে খেলাতেও আক্ষরিক অর্থেই এগিয়ে ছিল মার্সেই। তবে ত্রাতা নেইমার ও এডিনসন কাভানিও ছিলেন। তাতে একটি পয়েন্ট বাঁচাতে পেরেছে ফরাসি জায়ান্টরা।
রোববার রাতে মার্সেইয়ের মাঠ থেকে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে ফিরেছে পিএসজি।
প্রতিপক্ষের মাঠে ১৩ মিনিটে কাভানির গোলমুখ বরাবর নেয়া দুর্বল শটে শুরু পিএসজির। তিন মিনিট পর আবার প্রথম সুযোগেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গোলের নায়ক ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার লুইস গুস্তাভো।
অতিথিরা সমতা ফেরায় একজন ব্রাজিলিয়ানের মাধ্যমেই। ৩৩ মিনিটে মিডফিল্ডার আদ্রিওঁ রাবিওর ব্যাকপাসে বাঁ-পায়ের দূরপাল্লার শটে জাল খুঁজে নেন নেইমার। লিগে এটি তার মৌসুমের সপ্তম গোল।
গোল পেলেও মার্সেইয়ের মাঠে ভালো আতিথিয়েতা পাননি নেইমার। পায়ে বল গেলেই দুয়ো দিয়েছে স্বাগতিক সমর্থকরা। বিরতির পর কর্নার নিতে যেয়ে নিজের দিকে বোতল ছুঁড়ে আসতেও দেখেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তাতে পিএসজির মনোবল ভেঙেছিল কিনা জানা যায়নি। কিন্তু মাঠের খেলায় দাপট কমে এসেছিল দলটির। নেইমারও উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন। মধ্যবিরতির পর ৭৮ মিনিটে আরেকদফা এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ক্লিনটন এনজির ক্রসে ফ্লোরিয়ান থাউভিনের গোলে।
নেইমারকে উত্তেজিত করার ফলটা এরপরই পান মার্সেই সমর্থকরা, ম্যাচের ৮৭ মিনিটে। যখন দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে মাঠ ছাড়েন এই ব্রাজিলিয়ান। বাজে ফাউলের শিকার হয়ে কোথায় রেফারির বদান্যতা পাবেন, উল্টো প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ধাক্কা মেরে নিজেই সোজা মাঠের বাইরে।
পিএসজিও তখন নেইমারের মত পথ হারা, হার কড়া নাড়ছে, এগিয়ে আসেন কাভানি। যোগ করা সময়ে বক্সের বাইরে থেকে তার দুর্দান্ত ফ্রি-কিকটি জাল খুঁজে পেলে একটি পয়েন্ট বাঁচায় পিএসজি।
মার্সেইয়ের বিপক্ষে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রাতে পিএসজি ১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষেই থাকল। মোনাকো ২২ পয়েন্টে দুইয়ে। ১৮ পয়েন্টে মার্সেই আছে পাঁচে।