নেইমারের জন্য ট্রান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়তে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। পিএসজিকে এজন্য তারা ৩০ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড বা ৩৫ কোটি ইউরো দিতে রাজি।
স্প্যানিশ ও ফরাসি মিডিয়ার খবর, পিএসজির সঙ্গে নেইমারের যে চুক্তি তাতে নাকি একটা শর্ত আছে। সেটা হল ১ সেপ্টেম্বরের পর অর্থাৎ ট্রান্সফার উইন্ডোর পর নেইামরকে ছেড়ে দিতে পারে ৩০ কোটি ইউরো বিনিময়ে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়াল ৩৫ কোটি ইউরো দিয়ে নেইমারকে দলে আনতে চায়।
এই আলোচনার মধ্য আবার রিয়ালের সহ-অধিনায়ক ও নেইমারের জাতীয় দলের সতীর্থ মার্সেলো বলেছেন, ‘নেইমার ও রোনালদোকে একই দলে খেলতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।’
কিন্তু রোনালদো নিজেই তো রিয়াল ছাড়তে চাইছেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে দুই তারকা একই দলে খেলবেন? জবাবে মার্সেলো বলেছেন, ‘দলের সবাই চাইছে রোনালদো ক্লাবে থাকুক। আর রিয়ালে নেইমারের জন্য দরজা খোলা। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বহু আগে থেকেই এটা বলেছেন। ফলে নেইমার ও রোনালদোকে এক সঙ্গে খেলতে দেখা অসম্ভব কিছু নয়।’
টান্সফার ফি’র বিশ্বরেকর্ড গড়েই বার্সেলোনা থেকে নেইমারকে দলে নেয় পিএসজি। তখন ২২ কোটি ৪০ লাখ ইউরো খরচ করেছিল প্যারিস সাঁ সাঁ। তবে নেইমারের জন্য রিয়াল এখন এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে রাজি। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকতে পারে নেইমারের স্পন্সর নাইকির। এমনটাই খবর ব্রাজিল-স্পেন ও ফ্রান্স এই তিন দেশের মিডিয়ার।
স্প্যানিশ মিডিয়ার দাবি, ২০২০ সালে রিয়ালের স্পন্সর অ্যাডিডাসকে সরিয়ে প্রধান স্পন্সর হতে যাচ্ছে নাইকি। তার নাইকি নেইমারের অর্থের ভার বহন করতে পারে।
তবে অন্য একটি প্রশ্ন উঠছে। নেইমারকে বছরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বেতন দিতে হবে রিয়ালকে। রোনালদোর বর্তমান বেতন ২ কোটি ১০ লাখ ইউরো। দুই তারকার জন্য এই বিশাল পরিমাণ অর্থ কি রিয়াল খরচ করবে, নাকি রোনালদোকে ছেঁটে ফেলবে তারা?
রিয়াল প্রেসিডেন্ট নেইমারকে ক্লাবে আনতে নাছোরবান্দা। তাই রোনালদোকে শেষ পর্যন্ত নাও রাখতে পারে রিয়াল।