চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নুসরাত হত্যা মামলা: পরবর্তী জেরা ৩০ জুন

ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান ওরফে রাফি হত্যার ঘটনায় মামলার বাদী নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামলার সকল আসামীকে ফেনীর নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

অভিযোগ গঠনের ৬ দিনের মাথায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭জুন) ৩ জন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদানের জন্য উপস্থাপন শুরু হয়। তারা হলেন : নুসরাতের ভাই, মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান, নুসরাতের বান্ধবী নিশাত ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি।

সকাল সোয়া ১১ টায় মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান এর জেরা গ্রহণ শুরু হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে আসামী পক্ষের ৯জন আইনজীবী মামলার এজহারকারী ও বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানকে জেরা করেছেন। আদালতের কার্যসময় শেষ হয়ে যাওয়ায় বাকী ৭ জন আসামীর পক্ষের আইনজীবীগণ জেরা করতে পারেননি। তাই আগামী ৩০ জুন (রবিবার) মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। এইদিন বাকী ৭জন আসামীপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শুরু হবে। তারপর নুসরাতের বান্ধবী নিশাত ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা ফুর্তি স্বাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

অভিযোগ গঠনের ৬ দিনের মাথায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭জুন) ৩ জন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য উপস্থাপন শুরু হয়।

এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সকল আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়েছে; যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আদালত প্রাঙ্গণে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার আদালত (২০ জুন) এই আদেশ দেন। ওইদিন মামলার ১৬ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে ২৭ জুন সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাতের জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাইবার আইনে মামলা হওয়ার পর সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।