ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত হত্যা ঘটনায় মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
তদন্তের অংশ হিসেবে সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন খতিয়ে দেখবে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগ।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, নুসরাত হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। এই টাকার উৎস জানতে সিআইডি প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে। যৌন হয়রানি ও হত্যা মামলা দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইউনিট তদন্ত করবে। তবে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি তদন্ত করবে সিআইডি।
তিনি বলেন, সিআইডি’র একটি অনুসন্ধানী টিম সোনাগাজী গিয়ে অনুসন্ধান করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাংক লেনদেনের হিসাব দেখা হবে। আগামী সপ্তাহে আমাদের সিআইডি কর্মকর্তারা সোনাগাজী গিয়ে তারা অনুসন্ধান চালাবেন।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
সেই মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের মুখোশধারী লোকজন গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়।
আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান।