চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনেও আশা জাগছে টাইগারদের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিনে বড় লিডের টার্গেটে খেলতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে উইকেট হারানোর মধ্যে আশা জাগছে বাংলাদেশের।  এরই মধ্যে ২৪৪ রানে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা। ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ তুলে মধ্যহ্নভোজের বিরতিতে গেছে দুদল। লিডটা ৩০০ প্রাস করতে পারলে ইংল্যান্ডর বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের ভাল সম্ভাবনা থাকবে বাংলাদেশের।

লিডটা ইংল্যান্ডের জন্য ধরাছোঁয়ার বাইরে নেয়ার টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে।  ১২৮ রানে আর ৭টি উইকেট হাতে নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের ব্যাট করেন ইমরুল কায়েস। তবে পরে ৭৮ রান করে মঈন আলীর বলে আউট হন তিনি। ইমরুলের পর ফিরেন সাকিবও। একাধিকবার জীবন ফিরে পাওয়া সাকিব ৪১ রান করে আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

সাকিব ফেরার পর ক্রিজে দেরি করেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। স্পিন সহায়ক উইকেটে তিনি আউট হয়েছেন পেস বলে খোঁচা মারতে গিয়ে। অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান।

বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সবাই যেন ওয়ানডে মেজাজ নিয়ে ক্রিজে নামছেন। তার নমুনা রাখলেন সাব্বির রহমানও। টেস্টে যখন মাত্র তিন চলছে এবং দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পরও তিনি ব্যাট চালান ওয়ানডে স্টাইলে। পরে ১৭ বলে ১৫ রান করে করে রশিদের শিকার হন তিনি।

তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ১১৬। রানরেট চারের কাছাকাছি। শেষ চার ওভারে আবার রানরেট ৪ দশমিক ৪০।

এর আগে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দিনের ব্যাট করতে এসে শুরুতেই টাইগার স্পিনারদের বোলিং তোপের মুখে পড়ে। স্কোর বোর্ডে ৯৬ রান যোগ হতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। একটা  সময় ১৪৪ রানে ৮ উইকেট হারানো ইংলিশদের ২০০ রানের মধ্যে বেধে ফেলার স্বপ্ন দেখছিলো টাইগার ভক্তরা।

কিন্তু বাধসাধে ইংলিশ টেলএন্ডাররা। ক্রিস ওকস এবং আদিল রশিদের ৪৬ এবং ৪৪ রানের ইনিংসে ২০০ রানের কোঠা পার করে ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ইংলিশদের প্রথম ইনিংস থামে ২৪৪ রানে। সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে জো রুটের ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট দখল করেন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বারের মতো টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। বাকি ৪টি উইকেটের মধ্যে ৩টি তাইজুল এবং ১টি সাকিবের দখলে।