মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। পরবর্তীকালে সেই তরুণদের সংগঠিত দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিতি পায়। ওই দলের এক মহান শহীদ সদস্যের জীবনী উপজীব্য করে নাটক তৈরি করলেন এ সময়ের আলোচিত নাট্য নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার।
নাটকটির নাম ‘নিহত নক্ষত্র’। কে সেই ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ মহান সদস্য? সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, এখনই জানাতে চাই না। একটু চমক হিসেবে রাখতে চাই। তবে এতটুকু জানাই, তার চরিত্রে অভিনয় করবেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
‘নির্মাণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার পরও চেষ্টা করেছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ওই প্রেক্ষাপট তুলে আনতে। কাজটি জন্য বাড়তি চেষ্টা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয়েছে চিত্রনাট্যের কাজে। এরপর বিভিন্নভাবে এক্সকিউশন করতে হয়েছে।’
সঞ্জয় সমদ্দার মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধ ৯ মাস ধরে হলেও ওই সময় হাজার হাজার গল্প তৈরি হয়েছে। তৎকালীন অনেক ঘটনা এখনও মানুষের অজানা। সত্য সেইসব ঘটনা যদি মানুষ সঠিকভাবে জানতে পারে, তাহলে আরও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
কাজটি পুরোটাই মমতা ও আবেগ মিলিয়ে নির্মাণ করেছেন বলে জানান সঞ্জয় সমদ্দার। গল্পটি যখন তিনি জেনেছেন, নিজেও দারুণ আবেগ প্রবণ হয়ে ভেবেছেন নতুন প্রজন্মকে এ গল্পটি অবশ্যই দেখানো উচিত।
সঞ্জয় সমদ্দার, এ গল্পটি দেখলে মানুষ বুঝবে তখনকার দিনে মা তার সন্তানের চেয়ে দেশ ও দেশের স্বাধীনতা কতটা ভালোবাসতো। আবার মাকে রেখে সন্তানের যুদ্ধে যাওয়ার ঘটনা পরিচিত হলেও এর মধ্যেও অনেক ঘটনা আছে।
”নিহত নক্ষত’ দেখলে এ প্রজন্ম অনেকটাই হয়তো বুঝতে পারবে, কত অসাধারণ সব ত্যাগের বিনিয়মে দাঁড়িয়ে আছে আমাদের দেশ।”
‘ক্র্যাক প্লাটুন’-এর এক সদস্যের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ইতোমধ্যে তার একটি লুকও প্রকাশ পেয়েছে।
পরিচালক বলেন, অপূর্ব ভাই কাজটি প্রতি একটু বেশি আন্তরিকতা দেখিয়েছেন। তিনি যেমন কাজটির প্রতি যত্নশীল ছিলেন তেমনি মনোযোগীও ছিলেন। তার সহযোগিতার জন্য ক্র্যাক প্লাটুন কাজটি সঠিকভাবে করা আমার জন্য সহজ হয়ে গেছে। এছাড়া অন্য শিল্পীরাও নিজেদের সেরা সাপোর্ট দিয়েছেন। ২৬ মার্চ একটি বেসরকারি টিভিতে নাটকটি প্রচার হবে।
ইসতিয়াক অয়নের চিত্রনাট্যে ‘নিহত নক্ষত’-এ আরও অভিনয় করেন মনিরা মিঠু, জয় রাজ, সায়েম সামাদ প্রমুখ।