ব্লগার অভিজিৎ রায় ও নীলাদ্রি নিলয় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজন জঙ্গি শরিফ নিহত হওয়ার পর পুলিশ বলেছিল নিহত ব্যক্তির নাম শরিফ। কিন্তু ক্রসফায়ারে নিহত যুবকের আসল পরিচয় এটা নয়।
নিহত ব্যক্তির বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহর ইউনিয়নের বালুইগাছাতে। তিনি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। কলেজের অধ্যক্ষ কলেজের কাগজপত্রে তার নাম মো. মুকুল রানা বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন চ্যালেন আই অনলাইনকে বলেন, ‘স্লিপার সেলের জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দেয়। আমরাও তার নাম শরিফ ওরফে মুকুল রানা বলে জেনেছি।’
মুকুল ২০০৮ সালে এসএসসি পাশ করে, ২০১০ সালে এইচএসসি। এর পর সে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। এখন তার চতুর্থ বর্ষে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বর্যের পর সে আর কলেজে আসেনি।
মুকুল রানারা তিন ভাইবোন। তার বাবা আবুল কালাম আজাদ দাবি করছেন, এ বছরের ফেব্রয়ারীতে মুকুল সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে যশোরের একটা স্থানে র্যাব পরিচয়ে তাকে কয়েকজন নিয়ে যায়।
এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। রোববার টিভিতে খবর দেখে তিনি ছেলের ব্যাপারে জানতে পারেন। তবে মুকুল কোন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানেন না তার বাবা।
তার লাশ নিতে আসা তার দুলাভাই হেদায়েতুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই রহমত জানান, সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় এসে তিনি কোনো দলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন কি না, তা তার পরিবার জানে না। তিনি ঢাকায় কী করতেন, সে খোঁজও জানা নেই পরিবারের।
গত শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকার মেরাদিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরিফুল ওরফে মুকুল রানা নিহত হন। পুলিশ বলছে, লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে এই শরিফুলই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিজিৎকে যেখানে হত্যা করা হয়, সেখানকার ভিডিও ফুটেজে শরিফুলের উপস্থিতি দেখা গেছে বলে পুলিশের দাবি।