মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর এক সপ্তাহ পরও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। এমনকি মঙ্গলবারের বিক্ষোভে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর জলকামান নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে প্রায় ৩০ জনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন বলে এক গণমাধ্যম সংগঠক নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশি বাধা ও ধড়পাকড় উপেক্ষা করে রাজধানী নেপিডোর রাজপথে অবস্থান করছে বিক্ষোভকারীরা।
মিয়ানমারের বাইরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিক্ষোভের যেসব ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে; তাতে দেখা গেছে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। গৃহবন্দী করা হয় ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি প্রধান অন সাং সুচি-সহ তার দলের সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতাকে।
সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পরে মিয়ানমারের আপামর জনতা। এই বিক্ষোভ মিয়ানমারের ৫০ বছরের অস্থিতিশীলতার কথা মনে করিয়ে দেয়। যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করেছে ২০১৫ সাল পরযন্ত।
বিক্ষোভকারীদের একজন, ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দা খিন মিন সেও বলেন, জান্তা সরকার সবসময় আমাদের কণ্ঠ রোধ করেছে। দৈনন্দিন জীবনেও তারা হস্তক্ষেপ করে। আমাদের উপর নিরাশা ভর করেছে। কেন আমাদেরকে এভাবে বার বার ব্যর্থ করে দেয়া হচ্ছে?”
গতকাল সোমবার রাতে অবশ্য মিয়ানমারের সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নতুন করে নির্বাচন দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে।
জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লেইং জোর দিয়ে বলেছেন, গত নির্বাচনে সুচি সরকার ব্যাপক কারচুপি করার কারণে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নিতে বাধ্য হয়েছে।
সামরিক সরকারের এসব প্রতিশ্রুতি নাকচ করে দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। সংবিধানে সামরিক সরকারকে দেয়া বিশেষ ক্ষমতারও অবসান চায় বিক্ষোভকারী সাধারণ মানুষ।