নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনায় রাষ্ট্রপতিকে ১৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি।
নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা এবং ইসি গঠনে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে আহ্বায়ক করে সার্চ কমিটি গঠনসহ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।
তবে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় নির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা না দিয়ে বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি যা করবেন, তাতেই তাদের সমর্থন থাকবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার তৃতীয় দিনে বৈঠক হয়, ২০ দলীয় জোটের শরীক লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির। বঙ্গভবনে বেলা তিনটায় ১০ সদস্যের এলডিপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলোচনা শুরু হয়।
পরে এলডিপি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডক্টর অলি আহমেদ রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠক নিয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এরপর বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বঙ্গভবনে আসে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে বিকেল সাড়ে ৪টায় আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি।
বৈঠক শেষে কাদের সিদ্দিকী জানান, তাদের কোনো প্রস্তাবনা নেই। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তেই আস্থা রাখছেন তারা।
দু’দলই বলেছে, রাষ্ট্রপতি খুবই আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলেছেন। তাই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে আশাবাদী তারা।
গত রোববার থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রথম দিন সংলাপে অংশ নেয় বিএনপি। এদিন বিএনপির ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
এরপর মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।
আগামীকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ-এর বৈঠকের কথা রয়েছে।
এছাড়াও নতুন করে আমন্ত্রণ পাওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ২৭ ডিসেম্বর বিকেলে, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও ইসলামী ঐক্যজোট ২৯ ডিসেম্বর, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২ জানুয়ারি এবং বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ৩ জানুয়ারি আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে।