দুই দশক আগে ভারতে রাজ্য সরকার নির্বাচনে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর যে প্রচলন চালু হয় তা বন্ধের করার দাবি জানিয়েছে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। ভোটিং মেশিন বাতিল করে নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারে ফিরে যেতে বলেছে তারা।
দলটির দুই দিনব্যাপী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে শুক্রবার এ কথা জানায় তারা। ইভিএম এর অপব্যবহার বা এর ব্যবহার যে জনপ্রিয় রায়ের বিপরীত সে বিষয়ে ‘রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে শঙ্কার’ বিষয়ে কথা বলে তারা।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের উচিত ব্যালট পেপারের ব্যবহার ফিরিয়ে আনা, যা বেশিরভাগ গণতন্ত্রের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।
নিজেদের অবৈধ প্রভাবমুক্ত দাবি করে নির্বাচন কমিশন ধারাবাহিকভাবে ইভএম এর পক্ষে কথা বলে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের শুরুর দিকে কমিশন একটি অতিরিক্ত যন্ত্র (ডিভাইস) ব্যবহার শুরু করে যেখান থেকে একটি কাগজ বের হয় এবং এতে দেখা যায় ভোটারদের দেয়া ভোট কাঙ্খিত প্রার্থী পেয়েছে।
গত বছরও কংগ্রেম গুজরাটের নির্বাচনের ২৫ শতাংশ কাগজ পৃথকভাবে নিরীক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেন বাতিল করে বৃহৎভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পুনর্গঠনের আবেদনের অংশ হিসেবে এই আবেদন গ্রহণ করা হতে পারে।
তবে কংগ্রেসই ব্যালট পেপারের ব্যবহার ফিরিয়ে আনার দাবি করা প্রথম দল নয়। ২০০৯ সালে যখন নির্বাচনে ভালো করছিল তখন বিজেপির এল কে আদভানি বেশকিছু রাজ্যে ইভিএম এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যদিও নির্বাচন কমিশন তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে।
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই বাহুজান সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী প্রথম ইভিএম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।