একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে; অক্টোবরের পরে তফসিল ঘোষণা। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক খেলাধুলার খবর পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের পর্দায় উঠে আসছে প্রতিদিন। জনমনেও সৃষ্টি হয়েছে চঞ্চলতা। কেউ সহিংসতার সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন হচ্ছেন; কেউবা রাজনৈতিক স্থিতির প্রত্যাশা করছেন। বছরের শুরুর দিকে বেসরকারী বিনিয়োগের যে উর্ধগতি দেখা দিয়েছিল সে গতি মন্থর হয়ে এসেছে। ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছেন। বিশ্ববাজারে ডলার মূল্য বাড়তির দিকে থাকলেও দেশে তা বর্তমানে মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে। কোরবানী ঈদের পরের সপ্তাহে শেয়ার বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়েছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক খেলাধুলা শুরু হয়েছে বছর খানেক আগে থেকেই। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকটি দলের যুক্তফ্রন্ট গঠন করে রাজনৈতিক শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা এদের একটি। যুক্তফ্রন্টে বিকল্পধারার সঙ্গে রয়েছে আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগ ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য। যুক্তফ্রন্ট গঠনের আগে গণফোরামের তাতে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। গণফোরাম বাদে অন্যরা যুক্তফ্রন্ট গঠন করে ফেলেছে। পরে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে গণফোরাম মিলে জোট গঠন করেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে মস্কোপন্থী এবং চীনপন্থী আটটি বাম দল একত্রিত হয়ে একটা বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠন করেছে। দলগুলো হচ্ছেঃ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন। বিএনপি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠনের আওয়াজ দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত শুধু যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা চলার খবর পাওয়া গেছে।
আগষ্টের প্রথম দিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ এবং অরাজনৈতিক নিরাপদ সড়ক আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করে তা সন্ত্রাসের দিকে ধাবিত করার একটা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সরকারী দল বলেছে, শিবির এবং ছাত্রদল আন্দোলনকারীদের ভেতর ঢুকে গিয়ে আন্দোলনটাকে সহিংস করে তুলেছে। এদের অন্যতম প্রধান অপকর্ম ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতির দলীয় কার্যালয়ে আক্রমণ করা। পুলিশ এবং ছাত্রলীগ যৌথভাবে তাদের সে প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়। সরকার সমর্থকেরা এমনও বলেছে যে দু/একটা সহিংস ঘটনা ঘটে যাবার পর জামায়াত-বিএনপি একযোগে সারা শহরে ভাঙ্গচুর, অগ্নিসংযোগ, ইত্যাদি ঘটিয়ে ফেলার মত প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাদের এরকম বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় বিএনপি নেতা আমির খসরুর ফোনালাপ ফাঁস হয়ে গেলে। টেলিফোনে তিনি কুমিল্লায় অবস্থানরত একজন তরুণকে ঢাকায় চলে এসে এ আন্দোলনে নিজেদের লোকদের ইনভল্ভ করার নির্দেশ দেন। সরকার দক্ষতার সঙ্গে যতটা সম্ভব তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবী পুরণ করে এ আন্দোলন যাতে জামায়াত-বিএনপি’র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পুরণের হাতিয়ারে পরিণত না হয় তার ব্যবস্থা করেছে।
সে সময়ে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে ঢাকায়। নগরীর মোহাম্মদপুরে মধ্যরাতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্ণিকাটের গাড়ির উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটায় জানা গেল, তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কর্ণধার বদিউল আলম মজুমদার সাহেবের বাসায় নৈশভোজ শেষ করে ফিরছিলেন। বার্ণিকাটের বাংলাদেশ এসাইনমেন্ট শেষ হয়েছে। তিনি চলে যাচ্ছেন। এই নৈশভোজ ছিল বার্ণিকাটকে দেয়া বদিউল আলম মজুমদারের ব্যক্তিগত বিদায়ী সম্বর্ধনা। নৈশভোজে ডঃ কামাল হোসেন এবং তাঁর পত্নী হামিদা হোসেন উপস্থিত ছিলেন বলে গণমাধ্যমে জানা গিয়েছিল। ঘটনার পর বদিউল আলম মজুমদার মোহাম্মদপুর থানায় হামলার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করেন। হামলার পরে জানা গেল যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সরকারকে না জানিয়ে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা না নিয়ে উক্ত ভোজে অংশ নিয়েছিলেন। বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয়া রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব।
নিয়ম হচ্ছে কোন কুটনীতিক কুটনৈতিক পাড়ার বাইরে কোথাও গেলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় তা জানাতে হয়। তদুপরি তখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে এবং মার্কিন দূতাবাস নিজেই নিরাপত্তা এলার্ট জারি করে নিজেদের নাগরিকদের সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে না জানিয়ে কূটনৈতিক পাড়া থেকে অনেক দূরে, মোহাম্মদপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাহীন এক সাধারণ বাড়িতে দুই বহুল আলোচিত মার্কিন লবির লোকের সঙ্গে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকার ব্যাপারটা রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে সাড়া ফেলে; ঝড় ওঠে পত্রিকার পাতায়, টকশোতে। দেশবাসী বুঝে নিয়েছে বার্ণিকাট নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে গিয়েছিলেন। এ ধারণা আরও জোড়ালো হয় এ কারণে যে এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোন বিবৃতি দেয়নি; প্রতিকার চায়নি।
এতে প্রতীয়মাণ হয় যে মার্কিন প্রশাসন ঘটনাটা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন বিষয়ে বিচার চেয়ে বদিউল আলম মজুমদার মানববন্ধন, বক্তৃতা, বিবৃতি, ইত্যাদি করে থাকলেও নিজ অতিথির গাড়িতে হামলার বিচার নিয়ে বক্তৃতা, বিবৃতি দিচ্ছেন না। তথাকথিত সুশীল সমাজও এ বিষয়ে নিশ্চুপ রয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের আমলে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর উপর সিলেটে হামলার ঘটনা উল্লেখ করতে হয়। সে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুধু দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী আলোচনার ঝড় উঠেছিল। হামলাকারীদের বিচার হয়েছে।
যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম জোট এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপুর্ণ কোন ভুমিকা রাখতে পারবে কি-না তা নিয়ে রাজনীতি সচেতন মহলে জল্পনা-কল্পনা চলছে। আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের যুক্তফ্রন্ট নেতাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবার আহবান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম জোটকে স্বাগত জানিয়েছেন। জোট গঠনের সময় গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্য হচ্ছে না। বিএনপি এলে শুধু তাদের সঙ্গে ঐক্য হবে। বিএনপি জামায়াত ছেড়ে বা ২০-দলীয় জোট ছেড়ে যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম ফোরাম জোটে যোগ দেবে এমন ভাবনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সমর্থন করে না।
যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম জোট যেভাবে গঠন হয়েছে এবং তাতে আওয়ামী লীগ যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তার প্রেক্ষিতেও ধারনা করা যায় যে এ জোট জামায়াত-বিএনপি জোট আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলেও সংসদের কিছু আসনে নিজেরা বসার চেষ্টা করবেন। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই – এমন কথা এসব দলচ্যুত ব্যক্তিসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রায়ই বলে থাকেন। নির্বাচনের এখনো চার মাস বাকি। কোন কারনে মার্কিন দূতাবাসের বাতাস ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে এদের বুলিও যে সেদিকে ধাবিত হওয়া শুরু করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
মস্কো এবং চীন উভয়পন্থী আটটি বাম সংগঠন এবার বেশ একাট্টা হয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট গঠন করেছে। এই দুইপন্থীদের ৯০ এর গণআন্দোলনের সময় ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কখনো একত্রিত হতে দেখা যায় নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ১৫ সালের অগ্নি সন্ত্রাসের দায়ে জামায়াত-বিএনপি জোট রাজনীতির মাঠে দূর্বল হয়ে পড়লে বিরোধী রাজনীতিতে বেশ একটা শূণ্যতা সৃষ্টি হয়। শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন অনেকেই। দেশে তথাকথিত একটি সুশীল সমাজ আছে যারা গণমাধ্যমের মাধ্যমে বিরোধী দলের
অভাব কাটানোর চেষ্টা করলেও প্রকৃত বিরোধী দলের ভুমিকা রাখতে পারে নাই বা পারে না। বাম দলগুলো এই শূণ্যতা পুরণে এগিয়ে এসেছে। তারা জামায়াত-বিএনপি বা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট – কোনটার সঙ্গেই যুক্ত হবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ৩০ আগষ্টের দৈনিক সমকালে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এই জোটের প্রধান নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম রাজনৈতিক সঙ্কট, ৭১ এর চেতনা থেকে আওয়ামী লীগের দূরে সরে যাওয়া, জন্মলগ্ন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় থাকা বিএনপি, রাজনীতির বাণিজ্যিকীকরণ, দুর্বৃত্তায়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে যাওয়া, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। দ্বিদলীয় মেরুকরণভিত্তিক রাজনৈতিক কাঠামোর বেড়াজাল ভেঙে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।
বাম গণতান্ত্রিক জোট স্পষ্টতই বড় কোন জোটের সঙ্গে যাচ্ছে না। যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম জোট বিএনপি’র সঙ্গে যুক্ত হয়ে বড়সড় জোট গঠন করতে পারে। জামায়াত নিবন্ধন হারানো। ৬০ না-কি ৫৭ দলের জোট গঠন করে জাতীয় পার্টি বরাবরের মত অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার পর্যায়ে রয়েছে। তা থাকলেও তারা কোন কারণে জামায়াত-বিএনপি জোটের সঙ্গে যোগ দেবে – এমনটা কেউ ভাবে না। বাকি থাকল বিএনপি। পাকিস্তান, সৌদি আর আমেরিকার সমর্থন নিয়ে সবসময় সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকা বিএনপি ১/১১ এর সময় থেকে কঠিন সময় পার করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার চেষ্টা, জামায়াতের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ১২ সাল থেকে হত্যা, ধ্বংস, নৈরাজ্য, সহিংসতা করা এবং ১৫ সালে রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করার দায়ে বিএনপি রাজনীতির মাঠে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এর উপর রয়েছে বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়া, তাঁর দুই পুত্রের দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের সাজা পাওয়া এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মামলা।
সেপ্টেম্বর মাসে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে পরিস্থিতি বিএনপি’র প্রতিকূলে আরও বেশি চলে যাবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাদের আজন্ম সহযোগী পশ্চিমারাও তাদের পক্ষে তেমন কিছু বলছেন না। বার্ণিকাট প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলছেন। উপমহাদেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের রাজনৈতিক কোন কর্মকাণ্ড দেখা যাচ্ছে না। তারা ভারতের উপরেই এখানকার রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে বলেই সকলের ধারনা। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি জোড়ালো আন্দোলন করে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিতে এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে আওয়ামী লীগকে বাধ্য করতে পারবে – এমন ধারনা করা যায় না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বেগম জিয়ার মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না এমন দাবী বিএনপি ছাড়া আর কেউ করেনি। জাতীয় পার্টি জোট, যুক্তফ্রণ্ট-গণফোরাম জোট এবং বাম গণতান্ত্রিক জোট নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু সামনে আনেনি। অর্থাৎ তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এমন অবস্থানে রয়েছে। সহসা বেগম জিয়ার জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। সামনের দিনগুলোতে বড় রকমের অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক পরিবর্তন না হলে বেগম জিয়া জেলে, তারেক রহমান আদালতের শাস্তি নিয়ে বিদেশে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই – এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বিএনপিকে। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি কি করবে? নির্বাচনে অংশ নেবে না-কি নেবে না?
৫ জানুয়ারী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি’র আজকের মত পরিস্থিতিতে পরতে হত না বলে মনে করেন সকল রাজনীতি সচেতন মানুষ। বিএনপি যদি সামনের নির্বাচনেও অংশ না নেয় তবে তাদের পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত। একথা কী বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বোঝেন না! যদি বুঝে থাকেন তবে তারা দেখতে পাবেন আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়া ছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)